বলিউডে অন্তরঙ্গ দৃশ্য নিয়ে বহু বিতর্ক হয়েছে। এর মধ্যে অভিনেতা বিনোদ খান্নাকে ঘিরে থাকা কিছু ঘটনা আজও আলোচনায় আসে। তাঁর ক্যারিয়ারের ঝলমলে সাফল্যের পাশাপাশি বিতর্কও ছিল সমানভাবে। বিশেষত চুম্বন বা রোমান্টিক দৃশ্যের শুটিংয়ে একাধিকবার তিনি নিয়ন্ত্রণ হারিয়েছিলেন বলে অভিযোগ রয়েছে। 'দয়াবান' ছবিতে মাধুরী দীক্ষিতের সঙ্গে অতিরিক্ত অন্তরঙ্গ হয়ে পড়া নিয়ে যেমন বিতর্ক হয়েছিল, তেমনি আরেকবার আলোচনায় আসে মহেশ ভাটের অসমাপ্ত ছবি ‘প্রেম ধর্ম’।
এই ছবিতে বিনোদের বিপরীতে অভিনয় করছিলেন ডিম্পল কাপাডিয়া। তখন তিনি সদ্য স্বামী রাজেশ খান্নার সঙ্গে বিচ্ছেদের পর নতুন করে ক্যারিয়ার গড়ার লড়াইয়ে ব্যস্ত। ছবির একটি দৃশ্যে দেখানোর কথা ছিল বিনোদ খান্না ডিম্পলকে চুম্বন ও আলিঙ্গন করবেন, তারপর ধীরে ধীরে ঘুমিয়ে পড়বেন।
শুটিংয়ের দিন কিছুটা দেরিতে সেটে পৌঁছান বিনোদ। ক্লান্ত ও অবসন্ন দেখাচ্ছিল তাঁকে। ম্লান আলোয় তৈরি করা হয়েছিল রোমান্টিক আবহ, ক্যামেরা অন হতেই বিনোদ চিত্রনাট্য অনুযায়ী ডিম্পলকে জড়িয়ে ধরে চুম্বন করতে শুরু করেন। পরিচালক মহেশ ভাট প্রথম টেক দেখে সন্তুষ্ট না হয়ে আরও আবেগের প্রত্যাশা করেন এবং আরেকটি টেক নেওয়ার নির্দেশ দেন।
দ্বিতীয়বার শট শুরু হতেই বিনোদ আবার ডিম্পলকে চুম্বন করতে থাকেন। কিন্তু এবার সমস্যা দেখা দেয় পরিচালক বারবার ‘কাট’ বলার পরও বিনোদ থামছিলেন না। দৃশ্য শেষ হয়ে গেলেও তিনি ডিম্পলকে শক্ত করে ধরে চুম্বন চালিয়ে যেতে থাকেন।
হঠাৎ পরিস্থিতি হাতের বাইরে চলে যায়। আতঙ্কিত ডিম্পল কাপাডিয়া চিৎকার করে সাহায্য চান এবং শুটিং সেটে সবার দৃষ্টি আকর্ষণ করেন। সূত্রের দাবি, এরপর তিনি সরাসরি মেকআপ রুমে ছুটে যান এবং ঘণ্টার পর ঘণ্টা কান্নায় ভেঙে পড়েন।
পরিস্থিতি সামাল দিতে মহেশ ভাট দ্রুত শুটিং বন্ধ করেন। পরে তিনি এবং বিনোদ খান্না দুজনেই ডিম্পলের কাছে ক্ষমা চান। যদিও ঘটনাটি প্রেম ধর্ম ছবির কাজকে চরমভাবে ব্যাহত করে, এবং শেষ পর্যন্ত সিনেমাটি আর সম্পূর্ণ হয়নি।
এই ঘটনা ডিম্পল কাপাডিয়ার জীবনের অন্যতম অস্বস্তিকর অভিজ্ঞতা হিসেবে বলিউড ইতিহাসে জায়গা করে নেয়, আর বিনোদ খান্নার ক্যারিয়ারে বিতর্কের তালিকায় যুক্ত হয় নতুন অধ্যায়।