গত বছর মাদককাণ্ডে জড়িত থাকার অভিযোগে তিন টিভি অভিনেত্রী তানজিন তিশা, মুমতাহিনা চৌধুরী টয়া এবং সাফা কবিরের নাম সংবাদে উঠে আসে। দীর্ঘ আট মাস ধরে এই বিষয়ে নীরব থাকার পর সম্প্রতি সাফা কবির তার কর্মজীবনের ওপর এই খবরের নেতিবাচক প্রভাব নিয়ে কথা বলেছেন।
খবরের প্রভাব ও সাফাই
রুম্মান রশীদ খানের 'বিহাইন্ড দ্য ফ্রেম' পডকাস্টে অংশ নিয়ে সাফা কবির জানান যে, খবরটি দেখার পর তিনি পুরোপুরি হতবাক হয়ে গিয়েছিলেন। তিনি প্রশ্ন তোলেন, "তিন-চারটা মিডিয়ার মেয়েকে নিয়ে যে নিউজটা করল, তারা একটিবার চিন্তা করল না যে এ মেয়েগুলোর লাইফের কী হবে?"
তিনি মনে করেন যে, হুজুগে কোনো তথ্য ছড়িয়ে দেওয়া বা প্রমাণ ছাড়া কাউকে অপরাধী ধরে নেওয়া অন্যায়। এই ধরনের খবরের কারণে শুধুমাত্র শিল্পীদের কর্মজীবন নয়, বরং তাদের পরিবারেও এর নেতিবাচক প্রভাব পড়ে। তিনি বলেন, “মা-বাবাদের মনে ধারণা জন্মাল, তাঁদের সন্তানেরা এখানে সুরক্ষিত না, তাঁদের এখানে কাজ করতে দেওয়া যাবে না।”
কাজের ক্ষতি ও বন্ধুদের সহযোগিতা
এই মিথ্যা খবরের কারণে সাফা কবিরকে একের পর এক কাজ হারাতে হয়েছে। একটি ব্র্যান্ডের সঙ্গে তার চুক্তি বাতিল হয়ে যায় এবং অনেক সিনিয়র শিল্পীও বিতর্ক এড়াতে তার সঙ্গে কাজ করতে রাজি হননি। তিনি বলেন, “আমি তাদের বোঝানোর চেষ্টা করেছিলাম যে এটা শুধু একটা নিউজ। এর সঙ্গে আমার কোনো সম্পৃক্ততা নেই। কিন্তু তাদের কাছে এটা কীভাবে প্রমাণ করব? আমার কাছে প্রমাণ করার কিছু নেই, বোঝানো ছাড়া।”
তবে সে সময় তার কিছু শোবিজ বন্ধু পাশে এসে দাঁড়িয়েছিলেন। তৌসিফ মাহবুব প্রকাশ্যে তার সঙ্গে কাজ করার ঘোষণা দেন। এছাড়াও, জোভান এবং সিয়াম তাকে মানসিকভাবে সমর্থন করেছিলেন। সাফা বলেন, “আমি এ বন্ধুদের জন্যই এ পরিস্থিতি সামলাতে পেরেছি। অনেকেই বলেন মিডিয়ার মানুষেরা বন্ধু হয় না, আমি এর সঙ্গে কানেক্ট করতে পারি না।”