আমরা ভালো আছি, দাম্পত্যজীবন নিয়ে মুখ খুললেন জাহিদ হাসান
বাংলাদেশের জনপ্রিয় অভিনেতা জাহিদ হাসান ও তার স্ত্রী, সুপরিচিত মডেল, নৃত্যশিল্পী ও অভিনেত্রী সাদিয়া ইসলাম মৌ দেশের বিনোদন অঙ্গনের অন্যতম আলোচিত দম্পতি। দীর্ঘদিনের ভালোবাসার সম্পর্কের পর ১৯৯৭ সালে তারা বিয়ে করেন। সুখের সংসারে রয়েছে দুই সন্তান।
প্রায় ২৭ বছরের দাম্পত্য জীবনে দুজনেই একে অপরের পরিপূর্ণ সঙ্গী হয়ে থেকেছেন। নানা প্রতিকূলতা, ব্যস্ততা ও পেশাগত চাপের মাঝেও তারা হাত ধরেই পথচলা চালিয়ে গেছেন। তবে সম্প্রতি তাদের একসঙ্গে কোনো সামাজিক অনুষ্ঠানে উপস্থিত না হওয়ায় ভক্ত ও নেটিজেনদের মধ্যে নানা গুঞ্জন উঠেছে।
সম্প্রতি এক পডকাস্টে জাহিদ হাসানকে সরাসরি এ বিষয়ে প্রশ্ন করা হয়। উত্তরে তিনি পরিষ্কার জানিয়ে দেন—
“আমরা ভালো আছি। যদিও একসঙ্গে কোথাও খুব একটা যাওয়া হয় না। কারণ আমার শুটিং থাকে রাত অবধি। এত বছর কাজের কারণে অনুষ্ঠানগুলোতে একসঙ্গে থাকতে পারিনি। এমনকি আমার আপন ভাইয়ের বিয়েতেও যেতে পারিনি, কারণ সেদিন বরিশালে ‘বিচ্ছু’ নাটকের শো ছিল। কাজের শিডিউল আগে থেকে ঠিক হয়ে থাকে, হঠাৎ কোনো দাওয়াত এলে সাড়া দেওয়া সম্ভব হয় না। আর এখন কোনো ক্লাবে গেলে আড্ডা শেষ করে আসতে ইচ্ছে করে না। তাই অনুষ্ঠানে মৌ একাই যায়। দেশে না থাকলে আমি যাই।”
এই কথার পাশাপাশি নিজের অতীত সম্পর্ক নিয়েও খোলামেলা কথা বলেন জাহিদ হাসান। তিনি জানান, বিয়ের আগে এক অভিনেত্রীর সঙ্গে তার প্রেম ছিল। সে সময় তারা একসঙ্গে বহু নাটকে কাজও করেছেন। সম্পর্ক ভাঙার পর অবশ্য আর কখনো একসঙ্গে কাজ করেননি, এমনকি কোথাও দেখা হলেও আর কথা বলেন না।
তবে সাবেক প্রেমিকার কথা লুকিয়ে রাখেননি জাহিদ হাসান। তার স্ত্রী মৌ-ও বিষয়টি জানেন এবং প্রায়ই মজা করে তাকে লেগপুলিং করেন। জাহিদ হাসানের ভাষায়—
“আমার পরিবারের সবাই আগের সম্পর্কের কথা জানে। মৌ মাঝেমধ্যে এটা নিয়ে মজা করে। একদিন সে হঠাৎ আমার হাতে কয়েকটা পুরোনো চিঠি ধরিয়ে বলল— এগুলো এত অবহেলায় ফেলে রাখো কেন, যত্ন করে রাখো।”
তবে সাবেক প্রেমিকাকে নিয়ে আর কিছু বলতে চান না এই অভিনেতা। তার ভাষায়—
“তাকে নিয়ে কোনো মন্তব্য করতে চাই না, করলে সেটা অসম্মান হবে। আমি তাকে একসময় ভালোবেসেছিলাম। এখনো বিশ্বাস করি, সেও ভালো আছে— এটাই বড় কথা।”