কালবেলা ড্রামার চতুর্থ নাটক ‘হাসি শেষে নীরবতা’ প্রকাশের পর থেকেই দারুণ সাড়া ফেলেছে ইউটিউবে। মাত্র কয়েক দিনের মধ্যেই নাটকটি দেখেছে এক মিলিয়নের বেশি দর্শক। গল্প, নির্মাণ, আরশ-প্রিয়ন্তীর রসায়ন সবকিছু মিলিয়ে দর্শকের ভালোবাসায় ভেসে যাচ্ছে পুরো দল।
নাটকটি প্রকাশিত হয় গত সোমবার, কালবেলা ড্রামা ইউটিউব চ্যানেলে। আশিয়ান সিটি নিবেদিত এই প্রজেক্টের এমন সাফল্যে উচ্ছ্বসিত নির্মাতা মাকসুদুর রহমান বিশাল ও তার টিম। বিশালের পরিচালনায় গল্প লিখেছেন তানিন রহমান।
গল্পের মূল কেন্দ্রে একটি ভাঙা পরিবার বাবা-মায়ের বিচ্ছেদ, সেই ভাঙনের ভেতর দিয়ে বড় হওয়া এক সন্তানের নিঃসঙ্গতা ও মানসিক টানাপোড়েন। হাসির আড়ালে লুকিয়ে থাকা তার নীরব কষ্টই নাটকের প্রাণ।
নির্মাতা বিশাল বলেন, “নির্মাণের সময়ই বুঝেছিলাম গল্পটি দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নেবে। কারণ এটা এমন এক পরিবারের গল্প, যেটা বাস্তব অথচ খুব কম দেখা যায় পর্দায়। বাবা-মায়ের বিচ্ছেদের পর সন্তান যখন একা বেড়ে ওঠে, তার যন্ত্রণা কেমন হয়, সেটা কেউ বোঝে না। তবু এই গল্প শুধু কষ্টের নয় এতে ভালোবাসা, আশা, আলোর দিকও আছে।”
প্রধান চরিত্রে অভিনয় করেছেন আরশ খান, যিনি বলেন, “এটা রোমান্টিক ড্রামা হলেও গল্পটা খুব বাস্তব। এমন চরিত্র আমাদের আশেপাশেই আছে হয়তো পাশের ফ্ল্যাটে থাকে এমন কেউ। তার লড়াই, একাকিত্ব এসবই মানুষ নিজের জীবনের সঙ্গে মিলিয়ে দেখছে।”
সহ-অভিনেত্রী প্রিয়ন্তী উর্বী বলেন, “এ গল্পটা এক ভাঙা পরিবারের ভিতরকার যন্ত্রণার, তবে তাতে ভালোবাসার রঙও আছে। আমার চরিত্রটিও আলাদা মাত্রা দিয়েছে পুরো নাটকটিকে।”
নাটকটির শুটিং হয়েছে উত্তরা দিয়াবাড়ীসহ বেশ কয়েকটি সুন্দর লোকেশনে। অভিনয়ে আরও ছিলেন আজম খান, শেখ স্বপ্না, জামিউল হক সরকার, আলিশা শরিফ, বাধন প্রমুখ।
‘হাসি শেষে নীরবতা’ এখন শুধু একটি নাটক নয় ভাঙা সম্পর্ক, নিঃসঙ্গতা আর আশার মিশেলে তৈরি এক অনুভবের গল্প।