‘হাউস অব দ্য ড্রাগন’ সিরিজে ‘অ্যালিসেন্ট হাইটাওয়া’ চরিত্রে অভিনয় করে জনপ্রিয়তা পাওয়া ব্রিটিশ অভিনেত্রী অলিভিয়া কুক অন্তরঙ্গ দৃশ্যের শুটিংয়ের সময় নারীদের অস্বস্তির বিষয় নিয়ে ক্ষোভ প্রকাশ করেছেন। তার মতে, নারীরা নিজেদের সীমা নির্ধারণ করতে গেলেই তাদের 'ঝামেলাবাজ' হিসেবে চিহ্নিত করা হয়।

অন্তরঙ্গ দৃশ্যে নারীদের চ্যালেঞ্জ

ব্রিটিশ দৈনিক দ্য আই পেপারে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে অলিভিয়া কুক বলেন, অনেক অভিনেত্রী কেবল অস্বস্তির কথা বললেই তাদের 'বদমেজাজি' ট্যাগ দেওয়া হয়। তিনি জানান, ইন্ডাস্ট্রি অনেকটাই পরিবর্তিত হয়েছে, কারণ এখন ঘনিষ্ঠ দৃশ্যের শুটিংয়ে ইনটিমেসি কো-অর্ডিনেটর থাকেন। এটি একসময় অবিশ্বাস্য ছিল।

কুক মনে করেন, ভালো কো-অর্ডিনেটররা নতুন অভিনেত্রীদের হয়ে কথা বলেন, কারণ নতুনরা প্রায়শই নিজেদের অস্বস্তি প্রকাশ করার ভাষা খুঁজে পান না। তার মতে, অন্তরঙ্গ দৃশ্য জরুরি হলেও তা এমনভাবে করা সম্ভব, যেন অভিনয় শেষে কারো মনে না হয় যে নিজের ভেতরের একটি অংশ কেটে নেওয়া হয়েছে।

নতুন সিরিজ 'দ্য গার্লফ্রেন্ড'

সম্প্রতি অ্যামাজন প্রাইমে মুক্তি পেয়েছে অলিভিয়া কুক অভিনীত সিরিজ 'দ্য গার্লফ্রেন্ড', যা পরিচালনা ও অভিনয় করেছেন রবিন রাইট। এই সিরিজে কুক 'চেরি' নামের এক নারীর চরিত্রে অভিনয় করেছেন। কুক জানান, চেরির চরিত্রে তিনি তার নিজের শুরুর দিকের অনিশ্চয়তার মিল খুঁজে পেয়েছেন।

কুক তার অভিনয় জীবনের শুরুতে নানা ধরনের চ্যালেঞ্জের মুখোমুখি হয়েছিলেন। তার প্রথম বড় সুযোগ এসেছিল ২০১২ সালে বিবিসির 'ব্ল্যাকআউট' থ্রিলার সিরিজে। তিনি মনে করেন, লন্ডন ফিরে আসার পর গত পাঁচ বছরে তিনি কিছুটা স্থির হয়েছেন। রবিন রাইটের পরিচালনায় তিনি বুঝতে পারেন যে, অন্তরঙ্গ দৃশ্যকে অশ্লীল না করেও শক্তিশালীভাবে পর্দায় ফুটিয়ে তোলা সম্ভব।

নারীর কণ্ঠস্বর হিসেবে ইনটিমেসি কো-অর্ডিনেটর

কুক জোর দিয়ে বলেন, যৌনদৃশ্য অনেক সময় অভিনেতাদের ভীষণ অসহায় করে তোলে, বিশেষ করে নতুনদের জন্য। নারীরা যখন নিজেদের অস্বস্তির কথা বলেন, তখনও তাদের ওপরই নেতিবাচক লেবেল চাপিয়ে দেওয়া হয়। তাই তিনি মনে করেন, ইনটিমেসি কো-অর্ডিনেটর কেবল প্রযুক্তিগত সহায়তা দেন না, বরং তারা নারীর কণ্ঠস্বর হিসেবেও কাজ করেন।