বলিউডে টিকে থাকা সহজ কথা নয়, তা সে যে পর্যায়ের শিল্পীই হোক না কেন। একইভাবে অভিনেত্রী শেফালি শাহর ক্যারিয়ারও সহজ ছিল না। ‘মনসুন ওয়েডিং’ ও ‘ওয়াক্ত’-এর মতো ছবিতে প্রশংসিত অভিনয় করেও দীর্ঘদিন ধরে তিনি যোগ্য সুযোগ পাননি বলে দাবি করেন।

তবে ওয়েব সিরিজ ‘দিল্লি ক্রাইম’-এর হাত ধরে তার কেরিয়ারে আসে বড় চমক। সম্প্রতি টুইঙ্কল খান্নার ইউটিউব চ্যানেল Tweak India-তে সেই অভিজ্ঞতার কথা শেয়ার করেন শেফালি।

টুইঙ্কল খান্না জানান, শেফালি তার বহু পুরনো বন্ধু। একদিন তার বাগানে বসে শেফালি কাঁদছিলেন, কারণ তিনি তখন ভালো কাজ পাচ্ছিলেন না। এই প্রসঙ্গে টুইঙ্কল মজার ছলে বলেন, “আমার ছেলেই তখন পাশের ঝোপে লুকিয়ে ভিডিও করছিল। কারও সেক্স টেপ থাকে, ওর আছে কান্নার টেপ!” উত্তরে শেফালি হেসে বলেন, “তাও যদি এখন ছেড়ে দিই, জনপ্রিয় হব!”

বয়সের চেয়ে বড় চরিত্রে অভিনয়ের চ্যালেঞ্জ

ক্যারিয়ারের শুরুর দিকে বারবার তাকে বয়সের তুলনায় অনেক বড় চরিত্রে কাস্ট করা হয়েছে। যেমন, ‘ওয়াক্ত’ ছবিতে তিনি অক্ষয় কুমারের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেন, যিনি বাস্তবে তার থেকে বয়সে বড়। এমনকি ‘দিল ধড়কনে দো’-তেও তাকে মায়ের ভূমিকায় দেখা গিয়েছিল। এরপরই তিনি সিদ্ধান্ত নেন, আর এই ধরনের ভূমিকা করবেন না। তিনি বলেন, “নীরজা ও কপূর অ্যান্ড সন্স-এর মতো ছবির স্ক্রিপ্ট ভালো হলেও ফিরিয়ে দিয়েছিলাম। জানতাম, এগুলো করলে ক্যারিয়ার সেখানেই থেমে যাবে।”

এই দীর্ঘ অপেক্ষার পর কাস্টিং ডিরেক্টর মুকেশ ছাবড়া ‘দিল্লি ক্রাইম’-এর প্রস্তাব নিয়ে আসেন। পরিচালক রিচি মেহতা-র সঙ্গে দেখা করেই রাজি হয়ে যান শেফালি। এই সিরিজই তাকে এনে দেয় আন্তর্জাতিক স্বীকৃতি। ২০২০ সালে ‘দিল্লি ক্রাইম’ আন্তর্জাতিক এমি অ্যাওয়ার্ডে সেরা ড্রামা সিরিজ হিসেবে পুরস্কৃত হয়। এখন বহু চরিত্রের প্রস্তাবই তার ঝুলিতে। ওয়েব সিরিজ অভিনেতা-অভিনেত্রীদের কাছে এক নতুন সুযোগ হয়ে দাঁড়ানোয় তার কাজের সুযোগও বেড়েছে।