গুজরাটি সিনেমার জনপ্রিয় হরর ফ্র্যাঞ্চাইজি ‘ভাষ’ এর সিক্যুয়েল ‘ভাষ লেভেল ২’ মুক্তি পেয়েছে ২৭ আগস্ট। মুক্তির পর থেকেই সিনেমাটি হররপ্রেমীদের মধ্যে ব্যাপক আলোচনা তৈরি করেছে। অনেক দর্শক একে এখন পর্যন্ত নির্মিত সেরা ভারতীয় হরর সিনেমার একটি হিসেবে উল্লেখ করেছেন। সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে কেউ লিখেছেন “শয়তান কোনোভাবেই এই সিনেমার ভয়ের আবহ নকল করতে পারবে না।”
সিনেমাটি পরিচালনা করেছেন কৃষ্ণদেব ইয়াগনিক। প্রথম ছবির সাফল্যের পর তিনি ফের মূল অভিনেতাদেরই ফিরিয়ে এনেছেন। এর মধ্যে রয়েছেন হিতু কানোডিয়া, হিতেন কুমার এবং জানকি বোড়িওয়ালা। এছাড়া নতুন কাস্ট হিসেবে আছেন মনাল গাজ্জর, চেতন দাইয়া ও প্রেম গাধভি।
গল্প শুরু হয় প্রথম ছবির ঘটনার বারো বছর পর। অথর্ব (হিতু কানোডিয়া) একসময় তার মেয়ে আর্যাকে (জানকি বোড়িওয়ালা) হিপনোসিসের ভয়াবহ প্রভাব থেকে মুক্ত করেছিলেন। কিন্তু এবার জানা যায়, সেই মন্ত্র আসলে কখনোই তাকে পুরোপুরি ছেড়ে যায়নি। নতুন সিক্যুয়েলে দেখা যায় গুজরাটের এক স্কুলে হঠাৎ ভয়াবহ এক ঘটনা ঘটে। রহস্যময় এক “আঙ্কেল”-এর প্রভাবে ১০ জন স্কুলছাত্রী ছাদ থেকে লাফিয়ে পড়ে। অথর্ব এ খবর শোনার সঙ্গে সঙ্গেই মনে পড়ে যায়, একই রকম এক ঘটনার শিকার হয়েছিল তার মেয়ে আর্যা বারো বছর আগে। ফলে তাকে আবারও লড়াইয়ে নামতে হয় শুধু মেয়ের জন্য নয়, বরং নিরীহ স্কুলছাত্রীদের বাঁচানোর জন্যও।
সিনেমাটিতে হরর ও সাসপেন্সের পাশাপাশি আবেগঘন গল্পের মিশেল রয়েছে। নির্মাতাদের ভাষ্যমতে, ‘ভাষ লেভেল ২’ সরাসরি প্রথম পর্বের সঙ্গে যুক্ত এবং এর মূল উপজীব্য হিপনোসিস ও মনের নিয়ন্ত্রণ।
মুক্তির পর থেকেই সোশ্যাল মিডিয়ায় সিনেমাটি নিয়ে দর্শকদের উচ্ছ্বাস দেখা যাচ্ছে। এক দর্শক লিখেছেন, “এটা এমন এক বিরল সিক্যুয়েল, যা প্রতিটি স্নায়ুকে নাড়া দেয়। নীরবতা, শ্বাসরুদ্ধকর টেনশন আর ভৌতিক আবহ ভিজ্যুয়াল শকের চেয়েও অনেক বেশি ভয়ের।” আরেকজন মন্তব্য করেছেন, “ভাষ ২ দ্রুতগতির, বিশৃঙ্খল এবং একই সঙ্গে জনআকর্ষণ তৈরি করে।” অন্য এক রিভিউতে বলা হয়েছে, “গুজবাম্পস দেয়, হৃদয় কাঁপানো মুহূর্তে ভরপুর।”
পরিচালক কৃষ্ণদেব ইয়াগনিকের এই সিক্যুয়েল প্রমাণ করেছে, গুজরাটি ইন্ডাস্ট্রিও এখন বিশ্বমানের হরর উপহার দিতে পারে। হরর, সাসপেন্স, আবেগ আর মনস্তাত্ত্বিক ভয়ের সমন্বয়ে তৈরি এই সিনেমা ইতিমধ্যেই দর্শকদের মনে আলাদা জায়গা করে নিয়েছে।