হলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী অ্যামি অ্যাডামস আজ ৫১ বছরে পা দিলেন। বয়স পেরিয়ে গেলেও এখনো তারুণ্য যেন তাকে ঘিরেই রয়েছে। অভিনয়ের পাশাপাশি জীবনের প্রতি তাঁর দৃষ্টিভঙ্গি আলাদা, যা তাঁকে অন্যদের থেকে ভিন্ন করে তুলেছে।
১৯৭৪ সালের ২০ আগস্ট ইতালির ভিচেনজায় জন্মগ্রহণ করেন অ্যামি। বাবা-মায়ের চাকরিসূত্রে তিনি ছোটবেলায় যুক্তরাষ্ট্রে চলে আসেন। শৈশব থেকেই নাচ ও গান শেখার আগ্রহ ছিল তাঁর। জীবনের এক পর্যায়ে তিনি গিটার শিখতে চেয়েছিলেন, তবে সেই ইচ্ছা অপূর্ণই থেকে যায়।
১৯৯৯ সালে ড্রপ ডেড গর্জিয়াস সিনেমার মাধ্যমে অভিনয়ে অভিষেক ঘটে অ্যামির। ধীরে ধীরে তিনি নিজের প্রতিভা প্রমাণ করে জায়গা করে নেন হলিউডে। অ্যারাইভাল, দ্য মাস্টার, দ্য ফাইটার, এনচ্যান্টেড এবং আমেরিকান হাসল-এর মতো জনপ্রিয় ছবিতে অভিনয় করে দর্শক-সমালোচকদের প্রশংসা কুড়ান।
ক্যারিয়ারে ছয়বার অস্কারে মনোনয়ন পেয়েছেন অ্যামি। তবে আজও হাতে ওঠেনি কাঙ্ক্ষিত সোনালি ট্রফি। এই বিষয়টি নিয়ে তাঁর কিছুটা আফসোস রয়েছে। এক সাক্ষাৎকারে তিনি বলেছিলেন, অস্কারের আসরে শন পেন বা মেরিল স্ট্রিপের মতো কিংবদন্তিদের পাশে বসে প্রায়ই মনে হতো, “আমি কেন এখানে, আমি কি সত্যিই মানানসই?”
ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে খোলামেলা ছিলেন অ্যামি। তিনি একবার স্বীকার করেছিলেন, জীবনের অনেকটা সময় যোগ্য মানুষ খুঁজতেই নষ্ট করেছেন। আবার কখনো অতীতে ফিরে গিয়ে শৈশবের অসম্পূর্ণ স্বপ্নগুলো পূরণ করার ইচ্ছার কথাও জানিয়েছেন। তাঁর প্রিয় আইডল ছিলেন সুইডেনের জনপ্রিয় অভিনেত্রী ও গায়িকা অ্যান মার্গারেট, যাঁর খোলামেলা ও সাহসী অভিনয় অ্যামিকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে।
অভিনয়জীবনের পাশাপাশি অ্যামি সবসময় জীবনবোধকে ভিন্নভাবে দেখেছেন। বয়সকে কখনো ভয় পাননি। তাঁর মতে, ৩০ বছর বয়সে এসে তিনি জীবনকে সবচেয়ে ভালোভাবে বুঝতে শিখেছিলেন।