“আমি আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ মেধাসম্পন্ন একজন”—গুজব নিয়ে মুখ খুললেন কোরিওগ্রাফার অ্যাডলফ খান
বিনোদন প্রতিবেদক
২৯ জুলাই ২০২৫
সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে হঠাৎ করেই আলোচনায় উঠে এসেছেন কোরিওগ্রাফার ও ফ্যাশন ডিরেক্টর অ্যাডলফ খান। ছড়িয়ে পড়েছে তার একাধিক ছবি, যেখানে ক্যাপশনে দাবি করা হয়েছে—তিনি নাকি দেশের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষের পুরস্কার পেয়েছেন! তবে এই দাবি পুরোপুরি ভিত্তিহীন বলে জানান অ্যাডলফ নিজেই।
মূলত, দেশের বিভিন্ন শোবিজ আয়োজন ও অনুষ্ঠানমালায় কোরিওগ্রাফি ও ফ্যাশন নির্দেশনা দিয়ে নিজের পরিচিতি গড়ে তুলেছেন অ্যাডলফ খান। ভিন্নধর্মী পোশাক ও স্টাইলের জন্য আলাদা করে নজরে পড়েন তিনি। সম্প্রতি একটি আয়োজনে তাকে ‘সেরা স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টর’ হিসেবে পুরস্কৃত করা হয়। কিন্তু কিছু ব্যক্তি বা পেজে বিষয়টি বিকৃতভাবে প্রচার করে দাবি করা হয়, তিনি ‘সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ’-এর অ্যাওয়ার্ড পেয়েছেন।
এ নিয়ে নিজের ফেসবুক পেজে একটি বিস্তারিত পোস্ট করেন অ্যাডলফ। তিনি লিখেছেন, “আমি একজন শিক্ষিত, সচেতন ও স্পষ্টভাষী মানুষ। আমি কখনোই বলিনি যে আমি দেশের সবচেয়ে সুদর্শন পুরুষ। তবে হ্যাঁ, আমি আল্লাহ প্রদত্ত বিশেষ মেধাসম্পন্ন একজন। আল্লাহ আমাকে জ্ঞান-বুদ্ধি, ব্যক্তিত্ব, সরলতা, উদারতা, অন্যকে সম্মান ও ভালোবাসা দেওয়ার ক্ষমতা দিয়ে এই পৃথিবীতে পাঠিয়েছেন।”
তিনি আরও বলেন, “আমাকে নিয়ে অহেতুক বিতর্ক না করে একটু চিন্তা করুন—আমি আদৌ এমন কোনো দাবি করতে পারি কি না? আমার সাক্ষাৎকারগুলো শুনলে বুঝবেন—আমি মুখে হাসি ছাড়া কারো সঙ্গে কথা বলি না, ভালোবাসা না ছড়িয়ে কারো কাছ থেকে বিদায় নেই না।”
ভুল তথ্য ছড়ানো ও অপপ্রচার নিয়ে বিরক্ত অ্যাডলফ খান স্পষ্ট করে জানান—তিনি যে পুরস্কার পেয়েছেন, তা কোনো সৌন্দর্য প্রতিযোগিতা থেকে নয়।
আমাকে ‘সেরা স্টাইলিশ ফ্যাশন ডিরেক্টর’ হিসেবে সম্মানিত করা হয়েছে। কিন্তু এটাকে বিকৃত করে ‘সুদর্শন পুরুষের পুরস্কার’ বলে প্রচার করায় আমি বিরক্ত। আমার বাবার অসুস্থতার সময়েও এসব গুজব রটিয়ে আমাকে মানসিকভাবে বিব্রত করেছেন কিছু মানুষ। ট্রেন্ডিংয়ে তুলে দিয়ে আপনারা ঠিক কী বোঝাতে চেয়েছেন—উপকার নাকি অপকার? বিবেক ও ক্ষমা—এই দুটি শব্দের গুরুত্ব আমরা যেন না ভুলে যাই।
মিডিয়ায় অ্যাডলফ খানের যাত্রা শুরু হয় ২০০৮ সালে, র্যাম্প মডেল বুলবুল টুম্পার একটি গ্রুমিং স্কুলের মাধ্যমে। এরপর র্যাম্প মডেল হিসেবে কাজ করার পাশাপাশি চিত্রনায়িকা নিপুণের একটি ছবিতে স্টাইল ডিজাইনার হিসেবেও কাজ করেন তিনি। নিজেকে বরাবরই ব্যতিক্রম এবং আলাদা ভাবে উপস্থাপন করতেই পছন্দ করেন অ্যাডলফ।
অ্যাডলফ খানের ভাষায়, “আমি কারো মতো হতে চাইনি। শুধু একজনই হতে চেয়েছি—এডলফ খান।”