বিয়ে করেননি, সোশ্যাল মিডিয়ায় নেই- তাও ৫০-এ এসে বক্স অফিস কাঁপাচ্ছেন অক্ষয় খান্না!
তিনি যেন বলিউডের 'মিস্টিরি ম্যান'! ইচ্ছা হলেই বিরতি নেন, আবার ফেরেন যখন, তখন সবাই অবাক। বাবা বিনোদ খান্না তারকা হলেও, নিজের জোরেই তারকা অক্ষয়। ৫০ ছুঁইছুঁই বয়সে এসেও কেন তিনি বিয়ে করলেন না?
শাহরুখ-সালমানের মতো তুমুল জনপ্রিয় না হলেও, অভিনেতা হিসেবে অক্ষয় খান্নার ভক্ত-অনুসারী সর্বদা ছিলই। তবে গত শুক্রবার আদিত্য ধরের সিনেমা ‘ধুরন্ধর’ মুক্তি পাওয়ার পর থেকে নতুন করে চর্চায় এসেছেন তিনি। ইন্টারনেটে এখন তাঁর অভিনয়, ক্যারিয়ার এবং অদ্ভুত ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে চলছে জোর আলোচনা।
১৯৯৭ সালে ‘হিমালয় পুত্র’ দিয়ে শুরু করলেও, বহু তারকার ভিড়ে ‘বর্ডার’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথম নজর কাড়েন অক্ষয়। এরপর ‘আ আব লটে চলে’, ‘তাল’, ‘দিল চাহতা হ্যায়’-এর মতো সিনেমা দিয়ে তিনি নিজেকে প্রতিষ্ঠিত করেন। তবে ২০১০ সালের পর ক্যারিয়ারে খারাপ সময় এলেও ভক্তরা জানতেন-অক্ষয় ঠিকই ফিরবেন।
বিরতির পর অক্ষয় যখন ফিরেছেন, তখন যেন আরও শক্তিশালী হয়ে। ‘ইত্তেফাক’-এর রিমেক, ‘মম’, ‘দৃশ্যম ২’ এবং ‘সেকশন ৩৭৫’-এর মতো সিনেমা দিয়ে তিনি নিজের ছাপ রাখেন।
তবে চলতি বছরের শুরু থেকে চলছে অক্ষয় খান্নার জয়জয়কার। লক্ষ্মণ উতেকরের সিনেমা ‘ছাবা’-তে তিনি আওরঙ্গজেব চরিত্রে তাক লাগিয়ে দেন। আর এবার ‘ধুরন্ধর’ সিনেমায় তাঁকে দেখা গেল রেহমান ডাকাতের চরিত্রে (করাচির কুখ্যাত গ্যাংস্টার রেহমান ডাকাতের প্রেরণায় নির্মিত চরিত্র)।
দর্শকরা রীতিমতো উন্মাদ! অনেকে তাঁকে ২০২৫ সালের সেরা পারফরমার বলেও ঘোষণা করেছেন। এক দর্শক এক্স-এ লিখেছেন, "অক্ষয় খান্না সত্যিই অন্য মাত্রায় ছিলেন। প্রতিটি দৃশ্য তিনি নিখুঁতভাবে তৈরি করেছেন!"
সমালোচকরা বলছেন, অক্ষয় খান্নার সবচেয়ে বড় শক্তি হলো তাঁর এক্সপ্রেশন। কেবল চোখ আর মুখের অভিব্যক্তি দিয়েই তিনি চরিত্রের গভীর আবেগ তুলে ধরেন, যা এই সময়ে ভারতের খুব কম অভিনেতাই পারেন।
সমালোচক অনুপমা চোপড়ার মতে, "ছবির অন্য নায়কদের পারফরম্যান্সের জন্য পেশি দেখাতে হয়েছে কিন্তু অক্ষয়ের কিছুই লাগেনি। স্রেফ কেবল এক্সপ্রেশন দিয়েই অন্যদের ছাড়িয়ে গেছেন তিনি।"
অক্ষয় খান্নার অভিনয় যতটা চর্চায় থাকে, তাঁর ব্যক্তিজীবনও ততটাই রহস্যে মোড়া। ৫০ বছর বয়সেও তিনি বিয়ে করেননি, নেই কোনো প্রেমের গুঞ্জন। সোশ্যাল মিডিয়াও তিনি এড়িয়ে চলেন।
ব্যক্তিজীবনে একা থাকা প্রসঙ্গে অক্ষয় যা বলেছেন, তা আরও বেশি চমকপ্রদ। তিনি বলেছিলেন, "আমি জীবনে দায়িত্ব পছন্দ করি না। আমি চাই খুবই অবাধ জীবন যাপন করতে। সন্তানের কোনো বড় দায়িত্ব নেই, স্ত্রীর দায়িত্ব নেই-সবচেয়ে বড় দায়িত্ব হলো এসব। আমি সেটা চাই না। আমি একাই সুখী... কেন সেটা নষ্ট করব?"