যুক্তরাষ্ট্রের তিনটি অঙ্গরাজ্যে স্টেজ শো করে সম্প্রতি দেশে ফিরেছেন জনপ্রিয় অভিনেত্রী প্রার্থনা ফারদিন দীঘি। দেশে ফেরার পর থেকেই গুঞ্জন উঠেছে যে তিনি নতুন চলচ্চিত্রে চুক্তিবদ্ধ হচ্ছেন। সম্প্রতি এক সাক্ষাৎকারে তিনি তার কাজের অভিজ্ঞতা, নতুন সিনেমার খবর, ট্রল ও ব্যক্তিগত জীবন নিয়ে কথা বলেছেন।

যুক্তরাষ্ট্রে স্টেজ শো ও নতুন কাজের পরিকল্পনা

দীঘি জানান, পেনসিলভানিয়া, টেক্সাস ও মিশিগানে তার শো ছিল। তিনটি শহরেই তার অভিজ্ঞতা ছিল দারুণ। বিশেষ করে মিশিগানে প্রায় ২০ হাজার দর্শকের সামনে পারফর্ম করার অভিজ্ঞতা তার কাছে অসাধারণ লেগেছে। তিনি আরও জানান, দেশে ফেরার পর চার-পাঁচটি নতুন সিনেমার ব্যাপারে কথা হয়েছে। এর মধ্যে বেশিরভাগই প্রেমের গল্পের। তিনি বলেন, “যেহেতু এখন মানুষ আবারও ভালোবাসার গল্প দেখতে চাইছে, তাই প্রেমের গল্পটায় ঝোঁক বেশি।” তিনি আরও জানান, আপাতত ওটিটি প্ল্যাটফর্মে নতুন কোনো কাজ নিয়ে কথা হচ্ছে না।

‘জংলি’ সিনেমার চরিত্র ও দর্শকের প্রতিক্রিয়া

ঈদুল ফিতরে মুক্তিপ্রাপ্ত ‘জংলি’ সিনেমায় অভিনয় করে দীঘি বেশ প্রশংসা পেয়েছেন। এই ছবিতে তার চরিত্রটির নাম ছিল 'নূপুর'। তিনি বলেন, “আমি মোটামুটি নিশ্চিত ছিলাম যে ছবিটির শেষে সবাই জংলি (সিয়াম) এবং পাখি (শিশুশিল্পী নৈঋতা)-কে নিয়ে কথা বলবে, কিংবা একটি বাবা-মেয়ের সম্পর্কের গল্প নিয়ে কথা বলবে। কিন্তু প্রথম দিন সিনেমা দেখতে গিয়ে আমি অবাক হয়ে দেখি, মধ্যবয়সী একদল নারী বলছিল, নূপুরই (দীঘি) জনিকে নষ্ট করেছে। তখনই আমি বুঝলাম যে, আমার চরিত্রটি দর্শকদের মনে দারুণ প্রভাব ফেলেছে।” সব মিলিয়ে তিনি বলেন যে তার প্রত্যাশার চেয়ে প্রাপ্তি ছিল অনেক বেশি।

ট্রল এবং সমালোচনার মোকাবিলা

শৈশবের জনপ্রিয় শিশুশিল্পী হিসেবে তিনি এখন একজন পরিণত অভিনেত্রী। তারকাখ্যাতির কারণে তার ব্যক্তিজীবনে খুব বেশি পরিবর্তন আসেনি। তবে ট্রল ও সমালোচনা প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “একটা সময় খুব মন খারাপ হতো। ভাবতাম, কেন ট্রল হচ্ছে, আমি তো ট্রল হওয়ার মতো কিছু করিনি।”

তবে তিনি এখন এই বিষয়গুলোকে অন্যভাবে দেখেন। তিনি বলেন, “পরে দেখলাম শাকিব খান, জয়া আহসান, অমিতাভ বচ্চন, শাহরুখ খান, এমনকি আমার প্রিয় রণবীরকেও ট্রল করা হয়। তখন বুঝলাম, কিছু মানুষের স্বভাবই এমন। যারা ট্রল করে, তারা আসলে হতাশাগ্রস্ত; সফলদের দেখে তাদের ঈর্ষা হয়। এই ঈর্ষাকাতরতা থেকে তারা এমনটা করে।”

দীঘি আরও বলেন, “হেটার্সরা আমার কাজের ফোকাস নষ্ট করতে চায়। তাই এদের প্রাধান্য দেওয়াটা বোকামি। হেটার্সদের কথাকে তাই আমি আমার শক্তি হিসেবে ব্যবহার করি।”