এই গ্রহের সবচেয়ে রূপবতী নারীর নাম সালমা হায়েক, একসময় তাঁর ভক্তরা এভাবেই ডাকতেন প্রিয় অভিনেত্রীকে। গ্ল্যামার, অভিনয় আর ব্যক্তিত্ব দিয়ে ২৩ বছর বয়সে অভিনয়ে নাম লেখানোর পর থেকেই তিনি আলোচনায় আসেন। আজ সেই আন্তর্জাতিক খ্যাতিসম্পন্ন অভিনেত্রীর জন্মদিন। বিশেষ দিনে তাঁর জীবনের কিছু জানা–অজানা কথা।
মেক্সিকোতেই সালমার বেড়ে ওঠা। স্থানীয় একটি টেলিভিশন সিরিজে অভিনয়ের মাধ্যমে তিনি দ্রুত নজর কাড়েন এবং নবাগত হিসেবে পান পুরস্কার। অভিনয় দক্ষতা ও সৌন্দর্যের প্রশংসা তাঁকে নিয়ে যায় একের পর এক নতুন উচ্চতায়। তবে হলিউডে পথচলার শুরুটা সহজ ছিল না। মেক্সিকোয় বড় হয়ে ওঠায় তিনি ভালো ইংরেজি বলতে পারতেন না। কিন্তু তিনি জানতেন, হলিউডে জায়গা করে নিতে চাইলে ইংরেজি শেখার বিকল্প নেই। কঠোর পরিশ্রম করে তিনি অর্জন করেন সাবলীল ইংরেজি।
‘ডেসপেরাদো’ সিনেমার মাধ্যমে হলিউডে নিজের অবস্থান তৈরি করেন সালমা। এরপর একে একে ‘ফ্রিদা’, ‘ওয়াইল্ড ওয়াইল্ড ওয়েস্ট’, ‘ডগমা’সহ একাধিক ছবিতে অভিনয় করে বিশ্বব্যাপী খ্যাতি পান। বিশেষ করে ‘ফ্রিদা’ সিনেমায় তাঁর অভিনয় সমালোচক ও দর্শকদের সমানভাবে মুগ্ধ করে।
অভিনয়জীবনের পাশাপাশি উচ্চতা নিয়েও নানা মন্তব্য শুনতে হয়েছে তাঁকে। মাত্র ৫ ফুট ২ ইঞ্চি উচ্চতার জন্য বারবার কটাক্ষের শিকার হয়েছেন। তবে তিনি আত্মবিশ্বাসের সঙ্গে জবাব দেন, “আমি হয়তো শারীরিক উচ্চতায় খাটো; কিন্তু কখনোই এমন অভিনয় করি না যে আমি লম্বা।”
ব্যক্তিজীবনে সালমা হায়েক ২০০৯ সালে বিয়ে করেন ফ্রঁসোয়া-অঁরি পিনোকে। তিনি বিশ্বের বেশ কয়েকটি আন্তর্জাতিক ব্র্যান্ডের স্বত্বাধিকারী এবং বর্তমানে প্রায় ২১ বিলিয়ন ডলারের মালিক। স্বামী, পরিবার আর ক্যারিয়ার সব মিলিয়ে সালমা হায়েক আজও আভিজাত্য, প্রতিভা ও সাফল্যের এক উজ্জ্বল নাম।