বলিউডের অন্যতম জনপ্রিয় অভিনেত্রী কৃতি স্যানন খুব অল্প সময়েই সিনেমার পর্দা থেকে বাস্তব জীবনের সাফল্যের শীর্ষে পৌঁছে গেছেন। আজ তিনি কেবল একজন অভিনেত্রী নন, বরং সফল উদ্যোক্তা, প্রযোজক এবং শত কোটির ব্যবসা সাম্রাজ্যের অধিকারী।
মডেল হিসেবে ক্যারিয়ার শুরু করেছিলেন কৃতি। সেখান থেকেই বলিউডে পা রাখেন। তবে সিনেমার বাইরে তার চোখ ছিল আরও বড় কিছুতে। নিজের গ্ল্যামার অভিজ্ঞতা ও ত্বকের যত্ন নিয়ে আগ্রহ থেকেই ২০২৩ সালে তিনি প্রতিষ্ঠা করেন স্কিনকেয়ার ব্র্যান্ড ‘হাইফেন’। একটি সাক্ষাৎকারে কৃতি জানান, কোভিডের সময় ত্বকের যত্নের প্রয়োজনীয়তা গভীরভাবে উপলব্ধি করেছিলেন তিনি।
শুধু স্কিনকেয়ারই নয়, নিজের ফিটনেস ভ্রমণকেও ব্যবসায় রূপ দিয়েছেন তিনি। ‘মিমি’ সিনেমার জন্য ওজন বাড়ানো ও কমানোর অভিজ্ঞতা থেকেই আসে নতুন ধারণা। ২০২২ সালে শুরু করেন ফিটনেস ভেঞ্চার ‘দ্য ট্রাইব’, যার প্রথম শাখা মুম্বাইয়ের জুহুতে এবং পরবর্তীতে ২০২৪ সালে বান্দ্রাতেও চালু হয় নতুন স্টুডিও। এখান থেকে প্রতি মাসেই আসে লক্ষ লক্ষ রুপির আয়।
সিনেমার গল্প বলার প্রতি ভালোবাসাও তাকে নিয়ে গেছে প্রযোজনার জগতে। ২০২৩ সালে কৃতি গড়ে তোলেন নিজের প্রযোজনা সংস্থা ‘ব্লু বাটারফ্লাই ফিল্মস’। এখান থেকেই ২০২৪ সালে মুক্তি পায় ‘দো পাত্তি’ সিনেমাটি, যেখানে কৃতি নিজেও অভিনয় করেছেন, এবং তার সঙ্গে ছিলেন বলিউডের প্রখ্যাত অভিনেত্রী কাজল। সমালোচকদের প্রশংসাও কুড়িয়েছে সিনেমাটি।
এই সব সাফল্যের প্রতিফলন দেখা যায় কৃতির ব্যক্তিগত জীবনেও। এখন তিনি থাকেন মুম্বাইয়ের বান্দ্রার এক বিলাসবহুল অ্যাপার্টমেন্টে, যার মাসিক ভাড়া ১৭ লাখ রুপি। বছরে শুধু বাড়িভাড়ার পেছনে তার খরচ প্রায় ২ কোটি। এই ভবনের প্রতিবেশীদের মধ্যে রয়েছেন কে এল রাহুল ও জাভেদ জাফরির মতো তারকারা। এছাড়া ২০২৪ সালে আলীবাগে ২ হাজার বর্গফুটের একটি জমিও কিনেছেন কৃতি, যার মূল্য প্রায় ২ কোটি রুপি।
সব মিলিয়ে, বলিউডের বাইরের এক সাধারণ মেয়ে থেকে শুরু করে আজকের এই সফল অভিনেত্রী ও
উদ্যোক্তা—কৃতি স্যাননের যাত্রা সত্যিই অনুপ্রেরণার। বর্তমানে তার হাতে রয়েছে ১২টি
সিনেমার প্রজেক্ট, যার মধ্যে দুটি চলতি বছরেই মুক্তি পেতে যাচ্ছে।