ভয়ঙ্কর অভিজ্ঞতা! অন্তঃসত্ত্বা রাধিকা আপ্তের প্রতি  প্রযোজকের আচরণে হতবাক সবাই

বলিউডের ব্যতিক্রমী অভিনেত্রী রাধিকা আপ্তে ২০২৪ সালের ডিসেম্বরে এক কন্যাসন্তানের জন্ম দিয়ে মাতৃত্বের স্বাদ পান। তবে এই আনন্দের সঙ্গে জড়িয়ে আছে এক তিক্ত স্মৃতি, যা তিনি সম্প্রতি প্রকাশ্যে শেয়ার করেছেন।

নেহা ধুপিয়ার সঙ্গে এক আলাপচারিতায় রাধিকা জানান, গর্ভাবস্থার খবর জানানোর পর বলিউডের এক প্রযোজকের কাছ থেকে তিনি পান অবিশ্বাস্য প্রতিক্রিয়া। ফার্স্ট ট্রাইমেস্টারে থাকার সময় শরীরে স্বাভাবিক পরিবর্তন ও অতিরিক্ত খিদে অনুভূত হচ্ছিল। ঠিক সেই সময় ওই প্রযোজক তাঁকে নির্দেশ দেন, শুটিংয়ে যেন তিনি টাইট পোশাক পরেন! রাধিকারের কথায়, “শরীরে প্রচণ্ড অস্বস্তি হচ্ছিল, ব্যথাও ছিল। তবু ডাক্তার দেখানোর সুযোগও দেওয়া হয়নি। সামান্য সহানুভূতিও পাইনি। খুব কষ্ট পেয়েছিলাম।”

তবে এই নেতিবাচক অভিজ্ঞতার পাশাপাশি রাধিকা শেয়ার করেছেন এক উষ্ণ স্মৃতিও। একই সময়ে হলিউডের একটি ছবিতে কাজ করার সময় বিদেশি পরিচালক তাঁর গর্ভাবস্থাকে সাদরে গ্রহণ করেছিলেন। রাধিকার ভাষায়, “আমি মজা করে বলেছিলাম, বেশি খাওয়ার কারণে শুটিংয়ের শেষে হয়তো আমাকে চিনতেই পারবেন না। তিনি হেসে বলেছিলেন— ‘তাতে কী? তুমি তো গর্ভবতী!’” এই মানবিক প্রতিক্রিয়া তাঁর কাছে ছিল অমূল্য।

রাধিকা স্পষ্ট করে বলেন, তিনি বিশেষ সুবিধা চাননি— চেয়েছিলেন কেবল সামান্য সহানুভূতি ও মানবিকতা, যা এখনও বলিউডের অনেক ক্ষেত্রে অনুপস্থিত।

উল্লেখযোগ্য, ২০১২ সালে রাধিকা বিয়ে করেন ব্রিটিশ ভায়োলিনবাদক ও সুরকার বেনেডিক্ট টেলরকে। ২০২৪ সালের অক্টোবরে লন্ডন ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে বেবি বাম্প নিয়ে হাজির হয়ে তিনি সবাইকে চমকে দেন। দুই মাস পরই কন্যাসন্তানের জন্ম দেন তিনি।

সর্বশেষ তাঁকে দেখা গেছে করণ কাঁধারির লেখা ও পরিচালিত ‘সিস্টার মিডনাইট’ ছবিতে, যা ভারতে মুক্তি পায় ৩০ মে ২০২৫-এ। এবার তিনি অভিনয় করছেন ইংরেজি ছবি ‘লাস্ট ডেজ’-এ, যা জন অ্যালেন চাউ নামের এক খ্রিস্টান মিশনারির জীবনের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত। জাস্টিন লিন পরিচালিত এই ছবিতে স্কাই ইয়াং, নাভিন অ্যান্ড্রুজ, কেন লেউংসহ আরও অনেকে অভিনয় করেছেন। ২০২৫ সালের জানুয়ারিতে সানড্যান্স ফিল্ম ফেস্টিভ্যালে প্রিমিয়ার হওয়া ছবিটি মুক্তি পাবে ২৪ অক্টোবর, যুক্তরাষ্ট্রের প্রেক্ষাগৃহে।

মাতৃত্বের আনন্দ ও সংগ্রামের বাস্তব চিত্র তুলে ধরে রাধিকা প্রমাণ করলেন— বলিউডের ঝলমলে আভায়ও লুকিয়ে থাকে নির্মম বাস্তবতা।