নব্বই দশক থেকে দেশের অন্যতম জনপ্রিয় ম্যাগাজিন অনুষ্ঠান ‘ইত্যাদি’ এবার দর্শকদের সঙ্গে পরিচয় করাচ্ছে দ্বীপ জেলা ভোলার ঐতিহ্যবাহী চরফ্যাশনকে। দেশের ইতিহাস, সংস্কৃতি, প্রকৃতি ও পর্যটনকেন্দ্রগুলো দর্শকের সামনে তুলে ধরা এই অনুষ্ঠানটির মূল লক্ষ্য।

রচনা, পরিচালনা ও উপস্থাপনা করেছেন হানিফ সংকেত, আর সম্প্রচার হবে ২৯ আগস্ট, শুক্রবার রাত ৮টায় বাংলাদেশ টেলিভিশনে। অনুষ্ঠানটি নির্মাণ করেছে ফাগুন অডিও ভিশন

এবারের পর্বের জন্য বেছে নেওয়া হয়েছে ব্রিটিশ আমলে নির্মিত প্রায় শতবর্ষ পুরনো ট্যাফনাল ব্যারেট স্কুলের প্রাঙ্গণ, যেখানে পুরো ভোলাজুড়ে তৈরি হয় উৎসবের পরিবেশ। দুপুর থেকে হাজারো দর্শক ভিড় করতে শুরু করেন, কেউ ব্যানার–ফেস্টুন হাতে আনুষ্ঠানিকতা উপভোগ করেন। স্থানটি দ্রুত পূর্ণ হয়, আর বাইরে প্রায় অর্ধলক্ষ মানুষ অনুষ্ঠান দেখার জন্য ভিড় জমান।

স্থানীয়রা জানান, ভোলায় আগে এমন বিশাল দর্শক সমাগম দেখা যায়নি। গুঁড়ি গুঁড়ি বৃষ্টি উপেক্ষা করেও দর্শকের উচ্ছ্বাসে পুরো পরিবেশ মুখরিত হয়।

এবারের পর্বে দুটি গান রয়েছে। ভোলাকে কেন্দ্র করে মনিরুজ্জামান পলাশের কথায় প্রথম গানটি পরিবেশিত হয় নৃত্যের সঙ্গে, কণ্ঠ দিয়েছেন রাজিব ও তানজিনা রুমা, সুর করেছেন হানিফ সংকেত, সংগীতায়োজন করেছেন মেহেদী, আর স্থানীয় শতাধিক নৃত্যশিল্পী অংশ নেন। নৃত্য কোরিওগ্রাফি করেছেন এস কে জাহিদ। দ্বিতীয় গানটি ‘আমাকে না বলে’, কণ্ঠ দিয়েছেন রবি চৌধুরী ও আঁখি আলমগীর, সুর ও সংগীত করেছেন ইমরান মাহমুদুল, কথা লিখেছেন রবিউল ইসলাম জীবন

দর্শক অংশে ভোলাকে ঘিরে করা প্রশ্নোত্তরের মাধ্যমে নির্বাচিত তিনজন দর্শক অভিনয় করেন ভোলার সন্তান তৌসিফ মাহবুব-এর সঙ্গে। এছাড়াও, ভোলার গর্ব এম এ মুহিত-কে নিয়ে একটি বিশেষ সাক্ষাৎকারে তিনি তার এভারেস্ট জয়ের গল্প শেয়ার করেছেন।

তথ্যভিত্তিক প্রতিবেদনেও ভোলা তুলে ধরা হয়েছে। ভোলার বিভিন্ন উপজেলা, ভোলা গ্রাম ও গুলশান নিয়ে অনুসন্ধানী প্রতিবেদন প্রকাশিত হয়েছে। ১৯৭০ সালের ১২ নভেম্বরের ভয়াবহ ঘূর্ণিঝড়ের ধ্বংসযজ্ঞও একজন প্রত্যক্ষদর্শীর বর্ণনায় তুলে ধরা হয়েছে। পাশাপাশি মহিষকেন্দ্রিক ব্যবসা, মহিষের বাথান ও বাণিজ্য এবং মৎস্য খাতের মাধ্যমে মানুষের আয় ও জেলের দুর্ঘটনার করুণ কাহিনীও স্থান পেয়েছে।

বৈশ্বিক প্রতিবেদন হিসেবে চীনের বিখ্যাত সামার প্যালেস দেখানো হয়েছে, যা প্রাসাদ, বাগান ও হ্রদের অনন্য সমন্বয়।