জনপ্রিয় গায়ক ও অভিনেতা জুবিন গর্গের আকস্মিক মৃত্যুতে শুধু বলিউড নয়, কাশ্মীর থেকে কন্যাকুমারী পর্যন্ত শোকের ছায়া নেমে এসেছে। তার মৃত্যুতে ২০ থেকে ২২ সেপ্টেম্বর পর্যন্ত আসাম সরকার তিন দিনের রাষ্ট্রীয় শোক ঘোষণা করে।

জুবিনের মৃত্যুর পর লেখক-উপন্যাসিক রীতা চৌধুরীর সঙ্গে করা তার শেষ পডকাস্টটি মুহূর্তেই ভাইরাল হয়ে যায়। সেই পডকাস্টে জুবিন তার নিজের মৃত্যুতে আসামের মানুষের প্রতিক্রিয়া কেমন হতে পারে, সে বিষয়ে ভবিষ্যদ্বাণী করেছিলেন।

জুবিন বলেছিলেন, “আমি যদি আসামে মারা যাই, আসাম সাত দিন থমকে যাবে।” তার এই কথা যেন সত্যি প্রমাণিত হলো। তার মৃত্যুতে যেন সত্যিই সব কিছু থেমে গিয়েছিল এবং তার শেষযাত্রায় আসামের মানুষের কাছ থেকে ভালোবাসার এক প্রবল বহিঃপ্রকাশ দেখা যায়।

মুম্বাইয়ের বিলাসবহুল জীবন কখনোই জুবিনকে টানত না; তার হৃদয়জুড়ে ছিল আসাম। মুম্বাইয়ের স্মৃতি টেনে পডকাস্টে তিনি বলেন, “আমি ১২ বছর মুম্বাইয়ে ছিলাম, শহুরে জীবন আমাকে বিরক্ত করে তুলেছিল। অনেকে জিজ্ঞাসা করে, কেন মুম্বাইয়ে থাকি না? আমি বলেছি, রাজা কখনো নিজের রাজ্য ছেড়ে যায় না।

তিনি আরও বলেন, “লতা মঙ্গেশকর মারা গেলেন, কিছু হলো? না। রাজেশ খান্না মারা গেলেন, শুধু খবর হলো রাজেশ খান্না মারা গেছেন। কিন্তু আমি যদি আসামে মারা যাই, আসাম সাত দিন থমকে যাবে।”

গত মঙ্গলবার রাষ্ট্রীয় মর্যাদায় জুবিনের শেষকৃত্য সম্পন্ন হয়। হাজারো ভক্ত শেষবিদায় জানাতে উপস্থিত ছিলেন। বিপুল ভিড় সামলাতে মুখ্যমন্ত্রী ঘোষণা করেন, স্টেডিয়াম সারারাত খোলা থাকবে, যেখানে তার মরদেহ ভক্তদের শ্রদ্ধা জানানোর জন্য রাখা হয়েছিল।

জানা গেছে, স্কুবা ডাইভিং করতে নেমে জুবিন গর্গ প্রাণ হারান। তার মৃগী রোগের সমস্যা ছিল। যদিও আসামের মুখ্যমন্ত্রী আসল কারণ জানতে তদন্ত চালিয়ে যাওয়ার আশ্বাস দিয়েছেন।