হিমালয়ের প্রাকৃতিক সৌন্দর্যে বিখ্যাত মনালী এখন বন্যার তাণ্ডবের মুখে। চারিদিকে জলাবদ্ধতা, ধ্বংসযজ্ঞ আর মানুষদের হাহাকার। এই ভয়াবহ পরিস্থিতি দেখেই কান্নায় ভেঙে পড়েছেন বলিউড অভিনেত্রী ও সাংসদ কঙ্গনা রনৌত। সম্প্রতি নিজের সংসদীয় এলাকায় সাধারণ মানুষের সঙ্গে দেখা করতে গিয়ে তিনি বন্যার্তদের কষ্ট বুঝতে গিয়ে নিজের দুঃখের কথাও শেয়ার করেছেন।

কঙ্গনা জানান, “আমার বাড়ি মনালীতে। ওখানেই আমার রেস্তরাঁ। গতকাল আমাদের রেস্তরাঁয় মাত্র ৫০ টাকার খাবার বিক্রি হয়েছে। অথচ আমাকে প্রতি মাসে ১৫ লক্ষ টাকা বেতন দিতে হয়। ভাবুন, আমি কোন পরিস্থিতির মধ্যে দিয়ে যাচ্ছি।” প্রাকৃতিক দুর্যোগে ব্যবসার এই ক্ষতি ও আর্থিক চাপের কথা বলতে বলতে কঙ্গনা প্রকাশ্যে কাঁদতে বাধ্য হন।

তিনি আরও বলেন, “আমি একা মহিলা, সমাজে একা থাকি। আমার সমস্যাও বোঝার চেষ্টা করুন। আমাকে ইংল্যান্ডের রানি ভাববেন না। কঠোর পরিশ্রম করে রোজগার করি, নিজের পেট চালাই।” কঙ্গনার কথায় স্পষ্ট, এই সফর শুধুমাত্র রাজনৈতিক দায়িত্ব নয়, বরং ব্যক্তিগতও কারণ মনালী তাঁরই শহর।

তিনি জানিয়েছেন, বন্যা-প্রভাবিত মানুষের পাশে দাঁড়ানো তাঁর জন্য অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ। কেন্দ্রীয় সরকারের পক্ষ থেকে ১০ হাজার কোটি টাকা ত্রাণ হিসাবে দেওয়ার কথাও তিনি উল্লেখ করেন। কঙ্গনা বলেন, “আমি শুধু একজন সাংসদ নই, আমি মনালীর মেয়ে। তাই নিজের শহরের মানুষের কষ্ট শেয়ার করা এবং তাদের সাহায্য করা আমার দায়িত্ব।”

মনালীর বন্যার্তদের পাশে দাঁড়িয়ে কঙ্গনা রনৌতের এই মানবিক দৃষ্টান্ত দেখাচ্ছে, যে রাজনৈতিক পরিচয় ছাড়াও একজন সাধারণ মানুষ হিসেবে মানুষের দুর্দশার প্রতি সহানুভূতি প্রকাশ করা সম্ভব।