কেন এই মন্তব্য?

নুহাশ হ‌ুমায়ূন বিশ্বাস করেন, বাংলাদেশের কাজকে আন্তর্জাতিক অঙ্গনে ছড়িয়ে দেওয়া সম্ভব। তিনি বলেন, তার নির্মিত চলচ্চিত্রগুলো বিভিন্ন আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রশংসিত হচ্ছে। তিনি তার প্রথম সিনেমা ‘ইতি, তোমারই ঢাকা’ নিয়ে বুসান চলচ্চিত্র উৎসবে যোগ দেওয়ার অভিজ্ঞতা বর্ণনা করে বলেন, "সেখানে বিদেশি দর্শকেরা আমার সিনেমার কমেডি অংশ দেখে হাসছিলেন। সেই ঘটনা আমার জীবন বদলে দেয়। আমি বুঝতে পারি, আমার কাজের আন্তর্জাতিক আবেদন আছে।"

এই ঘটনা নুহাশকে আরও আত্মবিশ্বাসী করে তোলে। এরপর থেকে তিনি আন্তর্জাতিক দর্শকদের কথা মাথায় রেখে সিনেমা নির্মাণ করছেন।

নুহাশ বলেন, "সত্যি বলতে, ঢাকায় বিখ্যাত হওয়া খুবই সহজ, কারণ আমাদের শহর এবং দেশ ছোট। কিন্তু আন্তর্জাতিকভাবে পরিচিতি পাওয়া অনেক কঠিন। এই চ্যালেঞ্জটাই আমাকে আকর্ষণ করে।"

'লোকাল' থেকে 'গ্লোবাল'

পরবর্তীতে ‘মশারি’ এবং ‘পেটকাটা ষ’ নির্মাণ করে নুহাশ আরও বেশি আন্তর্জাতিক দর্শকদের কাছে আলোচিত হন। তিনি বলেন, এই দুটি কাজ একাধিক চলচ্চিত্র উৎসবে অংশ নিয়েছে এবং পুরস্কৃত হয়েছে। বিদেশি দর্শকদের কাছ থেকে পাওয়া সাড়া ছিল তার কল্পনার বাইরে।

তিনি আরও বলেন, "আমাদের জিন, ভূত, পেতনি এই গল্পগুলো বাইরের দর্শক গ্রহণ করেছে, যা আমাকে অবাক করেছে। তখনই আমি বুঝতে পারি, আমার কাজগুলো স্থানীয় হলেও এর নির্মাণশৈলী, উপস্থাপন এবং সাউন্ডের কারণে সেগুলো বিশ্বমানের হয়ে উঠেছে।"