তাসনুভা তিশা মিষ্টি হাসি আর দৃঢ়তার এক অন্যরকম সমন্বয়। পর্দায় তার উপস্থিতি সহজ হলেও প্রতিটি দৃশ্যে যেন তিনি নিজস্বতা দিয়ে চরিত্রকে জীবন্ত করে তোলেন। মডেলিং দিয়ে তার যাত্রা শুরু হলেও নাটক এবং ওয়েব সিরিজে ছোট চরিত্রগুলোতেই তার সম্ভাবনার ঝলক দেখা গিয়েছিল, যা এখন পরিণত অভিনেত্রীর রূপে ফিরে এসেছে।
তিশার অভিনয় বড় শব্দের ওপর নির্ভরশীল নয়, বরং তার সরলতায় চরিত্রের প্রাণ ফুটে ওঠে। কখনো চোখের কোণে এক চিলতে হাসি, আবার কখনো নিঃশ্বাসের সামান্য বিরতি এসবই দর্শকদের মনে কৌতূহল জাগায়। তার প্রতিটি অভিব্যক্তি দর্শকদের চরিত্রের গভীরে নিয়ে যায়। ওয়েব সিরিজ বা টেলিফিল্ম, রোমান্স বা সামাজিক গল্প সব চরিত্রেই তিশা নিজেকে প্রমাণ করেছেন। দর্শক হাসে, কাঁদে, ভাবতে বসে সবটাই তার অভিনয়ের মাধ্যমে ঘটে।
পর্দায় যেমন, ব্যক্তিগত জীবনেও তিশার সরলতা চোখে পড়ার মতো। সোশ্যাল মিডিয়ায় তিনি অপ্রয়োজনীয় বাহুল্য পছন্দ করেন না। তার সাজ-পোশাক সবসময়ই মার্জিত এবং তার ব্যক্তিত্বের সাথে মানানসই। এই সততা তাকে দর্শকদের কাছে আরও বেশি প্রিয় করে তুলেছে।
তিশার সঙ্গে কাজ করা নির্মাতারা তার পেশাদারিত্ব এবং বন্ধুসুলভ আচরণের প্রশংসা করেন। তিনি গল্পের সঙ্গে মিশে যান, কিন্তু কখনো নিজের পরিচয় হারান না। আর এটাই তাকে এ সময়ের অন্যান্য অভিনেত্রীদের থেকে আলাদা করে।
তিশা এখন শুধু একজন অভিনেত্রী নন, তিনি যেন একজন গল্পকার। তিনি দর্শকদের মনে প্রশ্ন জাগান, চোখে হাসি ফোটান এবং বুঝিয়ে দেন যে মানুষের আবেগ ছাড়া যেকোনো গল্পই অসম্পূর্ণ।