আড়াই বছর আগে জীবনের এক ভয়াবহ অন্ধকার সময়ের মধ্য দিয়ে যাচ্ছিলেন একজন জনপ্রিয় তারকা। দীর্ঘদিন ধরে তীব্র মানসিক অবসাদে ভুগছিলেন তিনি। হৃদয়ভাঙা যন্ত্রণায়, ক্যারিয়ারের ভাঙন ও কাছের মানুষের অবহেলায় একেবারেই ভেঙে পড়েছিলেন তিনি। বন্ধুবান্ধব হারিয়ে একাকীত্বে ডুবে গিয়েছিলেন, কিংবা বলা যায়, তখনই হয়তো তিনি বুঝতে পেরেছিলেন—আসল বন্ধুরা কারা।

অবসাদের সেই কঠিন সময়ে এক রাতে শুটিং শেষে সহকর্মী সারিকা সাবাহর বাসায় অবস্থানকালে জীবনের মোড় ঘুরে যায়। রাত ২টার দিকে হঠাৎ করেই চালানো হয় ইউটিউবার ‘দ্য বং গাই’-এর একটি ভিডিও। আর সেটিই হয়ে ওঠে তার জীবনে আশার আলো। অনেকদিন পর সেই প্রথমবার তিনি হৃদয় থেকে হেসেছিলেন। কোনো মেকি হাসি নয়, কোনো জোর করে আনা হাসি নয়—বরং সত্যিকারের, প্রাণখোলা হাসি। সেই মুহূর্তটির গুরুত্ব ভাষায় প্রকাশ করার মতো নয়।

এরপর থেকে নিয়মিত তিনি দেখতে শুরু করেন দ্য বং গাই এবং কনটেন্ট ক্রিয়েটর আরএনআরের ভিডিও। অসংখ্যবার একই ভিডিও আবার আবার দেখেছেন। কারণ, অনেকদিন তার জন্য সেই কনটেন্টগুলো হয়ে উঠেছিল একমাত্র ভরসা—যা তাকে আরেকটা দিন বেঁচে থাকার সাহস দিয়েছে, অন্ধকারে হারিয়ে যেতে দেয়নি।

দীর্ঘদিন তিনি নিজের মনের কৃতজ্ঞতাটা প্রকাশ করতে পারেননি। ভয় ছিল, বিষয়টি জানাজানি হলে অযথা খবর তৈরি হবে, দৃষ্টি আকর্ষণ করবে কিংবা নানা রকম জল্পনা ছড়িয়ে পড়বে। কিন্তু অবশেষে তিনি নিজের প্ল্যাটফর্ম থেকেই খোলাখুলি ধন্যবাদ জানিয়েছেন দ্য বং গাইকে।

তিনি লিখেছেন—

“ধন্যবাদ। তুমি জানো না তুমি আমার জন্য কী করেছো। হয়তো কোনোদিনও জানতে পারবে না। কিন্তু আমি চাই তুমি জানো—তুমি আমার টিকে থাকার অংশ ছিলে। আর সেটা আমার কাছে সবকিছু।”

বর্তমানে তিনি বেশ সুখী জীবনযাপন করছেন। আলহামদুলিল্লাহ, এখন তার চারপাশে রয়েছে অসাধারণ কিছু বন্ধু, পাশে রয়েছে সমর্থনকারী পরিবার, আর রয়েছে জীবনের নতুন এক অনুপ্রেরণা। তিনি মজা করে লিখেছেন—“একেবারে নতুন (এবং ভীষণ হ্যান্ডসাম 😄) একটা কারণ আছে প্রতিদিন হাসিমুখে ঘুম থেকে ওঠার।”

সবকিছু মিলিয়ে তিনি এখন কৃতজ্ঞতায় ভরা জীবন কাটাচ্ছেন এবং প্রকাশ্যে স্বীকার করেছেন—অন্ধকার সময় পার হতে দ্য বং গাইয়ের কনটেন্ট ছিল তার সবচেয়ে বড় সহায়ক শক্তি।