তিন দশক পেরিয়েও আলোয় কাজল, ৫১-তে পা দিলেন বলিউডের চিরতরুণা অভিনেত্রী।



১৯৯২ সালে 'বেখুদি' দিয়ে কাজলের পথচলা শুরু। তখন হয়তো কেউ ভাবেননি, এই মেয়েটি একদিন বলিউডের অন্যতম স্মরণীয় নাম হয়ে উঠবেন। শুরুতেই বলেছিলেন—মন ছুঁয়ে যাওয়ার মতো কাজ করতে চান। ৩৩ বছর পর ফিরে তাকালে দেখা যায়, কাজল তাঁর সেই প্রতিশ্রুতি রেখেছেন।

এই দীর্ঘ সময়ে অনেকেই হারিয়ে গেছেন পর্দা থেকে, কিন্তু কাজল এখনও কাজ করছেন একই শক্তি আর আত্মবিশ্বাসে। আজ ৫ আগস্ট, তিনি পা রাখলেন জীবনের ৫১তম বছরে।

তাঁর ক্যারিয়ার নিখুঁত ছিল না—মাঝে কিছু ছবিতে ব্যর্থতাও এসেছে। তবুও ‘দিলওয়ালে দুলহানিয়া লে যায়েঙ্গে’, ‘বাজিগর’, ‘গুপ্ত’, ‘ইশক’, ‘কুচ কুচ হোতা হ্যায়’, ‘ফানা’, ‘মাই নেম ইজ খান’-এর মতো চলচ্চিত্রের মাধ্যমে তিনি হয়ে উঠেছেন একটি সময়ের প্রতীক।

২০১০-এর পর কিছুটা পিছিয়ে পড়েছিলেন, হয়তো সময়ের হিন্দি সিনেমার সঙ্গে তাল মেলানো কঠিন হয়ে পড়েছিল। সেই সময় কাজের সংখ্যাও কমিয়ে দেন। তবে পুরোপুরি সরে যাননি। বরং নিজেকে নতুন করে গড়ে তোলেন এবং ধীরে ধীরে ফিরে আসেন আলোর কেন্দ্রে।

গত কয়েক বছরে ‘ত্রিভঙ্গ’, ‘সালাম ভেঙ্কি’, ‘হেলিকপ্টার এলা’, ‘দ্য ট্রায়াল’–এর মতো কাজের মাধ্যমে আবারও প্রমাণ করেছেন, ভালো অভিনয়ের জন্য তাঁর নাম এখনও ভরসার জায়গা। যদিও ‘দো পাত্তি’ তেমন সাড়া ফেলেনি, বাকি কাজগুলোতে তিনি ছিলেন যথারীতি সাবলীল ও মুগ্ধতা জাগানো।

চলতি বছর ‘মা’ সিনেমার মাধ্যমে প্রথমবার হরর ঘরানায় পা রাখলেন কাজল। সিনেমাটি বক্স অফিসে ৫০ কোটি রুপি ছাড়িয়ে যায়। এমন একটি সময়ে যখন হিন্দি সিনেমা অনেকটাই মন্দার মধ্য দিয়ে যাচ্ছে, সেখানে এই সফলতা কাজলের জন্য বাড়তি কৃতিত্বই বটে।

এই সিনেমায় তাঁকে এক মায়ের চরিত্রে দেখা গেছে, যিনি ভিএফএক্স আর অ্যাকশনে ভরপুর একটি গল্পের কেন্দ্রবিন্দুতে। নিজের অভিজ্ঞতা জানাতে গিয়ে কাজল বলেন, “মায়ের চরিত্র তো অনেক দিন ধরেই করছি, তাই সেই জায়গাটা আমার কাছে পরিচিত। তবে এই ছবিতে হররের সঙ্গে অ্যাকশন, আর ভিএফএক্সের কাজ ছিল একেবারে ভিন্ন অভিজ্ঞতা।”

পরিচালক বিশাল ফুরিয়ার ওপর ভরসা রেখেই তিনি নিজেকে ভেঙেছেন নতুন করে। সময়ের সঙ্গে নিজেকে বদলেছেন কাজল—আর এটাই তাঁকে টিকিয়ে রেখেছে।

তাঁর ক্যারিয়ার এখনো থেমে যায়নি, বরং প্রতিটি নতুন কাজেই যেন নিজেকে নতুনভাবে হাজির করছেন তিনি। তাই অনায়াসেই বলা যায়, আগামী দিনেও কাজল আমাদের চমকে দিতে পারেন।