দুই বছরের বিরতি নিয়েছিলেন বেদিকা, শুধু এক চরিত্রের জন্য
নীরজ পান্ডের অপারেশন রোমিও দিয়ে বলিউডে আত্মপ্রকাশ করেছিলেন বেদিকা পিন্টো। এরপর তাঁকে দেখা গেছে গুমরাহ-এ। কিন্তু তার পরের দুই বছর আর কোনো ছবিতে অভিনয় করেননি তিনি। পুরোটা সময় উৎসর্গ করেছিলেন অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত নিশাঞ্চির জন্য। আর সেই ছবির সুবাদেই আবারও আলোচনায় উঠে এসেছেন এই তরুণ অভিনেত্রী।

লক্ষ্ণৌর মেয়ে ‘রিঙ্কু’ চরিত্রে অভিনয় করেছেন মুম্বাই-প্রসূত বেদিকা। পর্দায় প্রাণবন্ত ‘রঙ্গিলি রিঙ্কু’ হয়ে উঠতে তিনি নিজেকে উজাড় করে দিয়েছেন। সাবলীল ও পরিশীলিত অভিনয়ে যেমন দর্শকের মন জয় করেছেন, তেমনি সমালোচকেরাও প্রশংসায় ভরিয়ে দিয়েছেন।

বলিউড হাঙ্গামাকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে বেদিকা বলেন, “নিশাঞ্চি”-র রিঙ্কু আমার জন্য জীবনের অভিজ্ঞতা। গত দুই বছর কোনো ছবির কথা ভাবিনি, শুধু এই চরিত্র নিয়েই বেঁচেছি।’ তাঁর মতে, এই চরিত্র তাঁকে নতুনভাবে গড়ে তুলেছে ব্যক্তিগত ও পেশাগত জীবনে। তবে পথটা সহজ ছিল না। দুই বছর আগের সময়গুলো মনে করলে এখনো অবাক হন তিনি। তখন নিয়মিত অডিশন দিতেন, কিছু সুযোগ হাতছাড়া হয়ে যেত, কিছু আবার একেবারেই মেলেনি।

অনুরাগ কাশ্যপের আস্থা পাওয়া বেদিকার কাছে সবচেয়ে বড় প্রাপ্তি। বিশেষ করে নির্মাতার একটি কথা তাঁকে গভীরভাবে অনুপ্রাণিত করেছে  ‘শুধু কাজ করার জন্য কাজ কোরো না, অভিনয়কে ভালোবেসে কাজ করো।’

বেদিকার বাবা সংবাদমাধ্যম ও বিজ্ঞাপন জগতের সঙ্গে যুক্ত হলেও নিজের জায়গা তৈরি করতে লড়াইটা তাঁকেই করতে হয়েছে। বলিউডের বহুল আলোচিত ‘নেপোটিজম’ প্রসঙ্গে তাঁর মত, প্রতিভাই আসল। তাঁর ভাষায়, ‘সব ইন্ডাস্ট্রিতেই ভালো-মন্দ থাকে। শেষ পর্যন্ত দর্শকই ঠিক করে দেন, কে টিকে থাকবেন। যোগ্যতার জোরেই জায়গা করে নিতে হয়।’

নিশাঞ্চি-তে রিঙ্কু চরিত্রের মাধ্যমে দর্শকের হৃদয়ে জায়গা করে নিয়েছেন বেদিকা। এখন তাঁর লক্ষ্য ভবিষ্যতেও ব্যতিক্রমী চরিত্রে অভিনয় করে সেই অবস্থানকে আরও দৃঢ় করা। তিনি বুঝে গেছেন, বলিউডের দীর্ঘপথে টিকে থাকার মূল পাথেয় হলো দর্শকের ভালোবাসা আর প্রশংসা।