আশ্বিন কুমার অভিনীত ও প্রযোজিত এনিমেটেড সিনেমা ‘মহাবতার নরসিংহ’ মুক্তির প্রথম সপ্তাহে ইতিমধ্যেই প্রমাণ করেছে এর বাজারদক্ষতা। পৌরাণিক কাহিনিনির্ভর এই সিনেমাটি হিন্দি, তেলুগু, কন্নড়, তামিল এবং মালায়ালম—এই পাঁচটি ভাষায় মুক্তি পেয়েছে। প্রথম দিকে ধীরগতিতে শুরু করলেও, সপ্তাহান্তে দর্শকদের আগ্রহে ছবিটি গতি পেয়েছে।


প্রথম দিন (২৫ জুলাই, বৃহস্পতিবার):
মুক্তির দিনেই সিনেমাটি আয় করে ১.৭৫ কোটি টাকা

  • শুধু হিন্দি সংস্করণ থেকেই আয়: ১.৩০ কোটি টাকা

  • তেলুগু সংস্করণ: ৩৫ লাখ টাকা

  • তামিল, কন্নড় ও মালায়ালম সংস্করণ: মোট ১০ লাখ টাকার মতো

দ্বিতীয় দিন (২৬ জুলাই, শুক্রবার):
৪.৬ কোটি টাকা সংগ্রহ করে সিনেমাটি।

তৃতীয় দিন (২৭ জুলাই, শনিবার):
সিনেমার আয় পৌঁছে যায় ৯.৫ কোটি টাকায়, যা এই সময়ের মধ্যে সর্বোচ্চ।

চতুর্থ দিন (২৮ জুলাই, রবিবার):
সাধারণত সোমবার আয় কমে যায়, আর এদিন সিনেমাটি আয় করে ১৭ লাখ টাকা

 সব মিলিয়ে প্রথম চার দিনে মোট আয় দাঁড়ায়: ১৬.০২ কোটি টাকা (নেট আয়, ভারতীয় বাজারে)।


‘মহাবতার নরসিংহ’ মূলত হিন্দু পুরাণের নরসিংহ অবতারের ওপর ভিত্তি করে নির্মিত একটি এনিমেটেড চলচ্চিত্র। সিনেমাটিতে আধুনিক অ্যানিমেশন প্রযুক্তি ও ভিএফএক্স ব্যবহার করে তুলে ধরা হয়েছে দেবতা, অসুর এবং ধর্মের চিরন্তন লড়াইকে

এই ধরনের থিম ভারতের মূলধারার চলচ্চিত্রে খুব কমই দেখা যায়, বিশেষ করে পূর্ণদৈর্ঘ্যের থিয়েটার-রিলিজ হওয়া এনিমেটেড ফর্মে। তাই দর্শকদের অনেকেই একে ‘একটি ধর্মীয় অভিজ্ঞতা’ হিসেবে দেখছেন।

সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে ইতিমধ্যেই ইতিবাচক প্রতিক্রিয়া দেখা গেছে। বিশেষ করে সিনেমার দৃশ্যপট নির্মাণ, চরিত্রগুলোর এক্সপ্রেশন ও এনিমেটেড পরিবেশ দর্শকদের নজর কাড়ছে।

একজন দর্শক লিখেছেন—

“⭐️⭐️⭐️⭐️ (৪/৫) মহাবতার নরসিংহ আমাকে নরসিংহ অবতারের গম্ভীরতা ও মহিমা অনুভব করিয়েছে। পরিবেশের নকশা ও চরিত্রের অভিব্যক্তি অসাধারণ।”

আরেকজন মন্তব্য করেছেন—

“এটা শুধু একটি সিনেমা না, একেবারে আধ্যাত্মিক যাত্রা। মিথ ও আধুনিকতার এক অপূর্ব মেলবন্ধন।


চতুর্থ দিনে বক্স অফিসে হালকা পতন দেখা গেলেও, ছবি নিয়ে এখনও আগ্রহ রয়েছে। বিশেষ করে পবিত্র মাস বা উৎসবকে কেন্দ্র করে সিনেমাটি আবার নতুন করে দর্শক টানতে পারে বলে আশা করা হচ্ছে। সামনের সপ্তাহান্তে আয়ের নতুন রেকর্ড গড়তে পারে ‘মহাবতার নরসিংহ’।