একসময়ের জনপ্রিয় ও শক্তিমান খল-অভিনেতা আহমেদ শরীফ মনে করেন, বাংলাদেশে থেকে গেলে হয়তো আজ তাকে হাত পেতে ভিক্ষা করতে হতো।

রবিবার রাজধানীর এফডিসিতে প্রয়াত শিল্পীদের আত্মার মাগফেরাত কামনা করে আয়োজিত দোয়া মাহফিলে সাংবাদিকদের সঙ্গে আলাপকালে তিনি এ মন্তব্য করেন।

আহমেদ শরীফ বলেন, “চলচ্চিত্রের অবস্থা এতটাই খারাপ যে অনেক শিল্পী ঠিকমতো দুই বেলা খেতে পারে না। চলচ্চিত্রে কজন মানুষ আছে যে নিশ্চিত করে বলতে পারে তার দুই বেলা খাওয়ার ব্যবস্থা আছে? নেই। যদি মিথ্যা না বলি তাহলে নেই। সবাই বলছে শরীফ ভাই ঠিক জায়গায় আঘাত করেছে।”

বাংলাদেশে থাকলে তার কী অবস্থা হতো, সে প্রসঙ্গে তিনি বলেন, “আজকে যদি আমি বাংলাদেশে থাকতাম, আমি নিশ্চিত করে বলতে পারি আমাকে হাত পেতে লোকেদের কাছে ভিক্ষা করে খেতে হতো। বলতে হতো, ভাই আমার বাড়িতে খাবার নেই, বউ-বাচ্চাকে খাওয়াতে পারছি না, আমাকে টাকা দাও।”

বর্তমানে তিনি যুক্তরাষ্ট্রে বসবাস করছেন। তবে মাঝেমধ্যেই দেশে আসেন এবং কুষ্টিয়ায় নিজ অর্থায়নে একটি মসজিদ নির্মাণ করেছেন।

আহমেদ শরীফ জানান, অনেক শিল্পী বাধ্য হয়ে বিদেশে চলে যাচ্ছেন। শুধু চলচ্চিত্র নয়, টিভি শিল্পীরাও একই কারণে দেশ ছাড়ছেন। তার ভাষায়, “দেশে এখন আর আনন্দ-বিনোদন কিংবা নিশ্চিন্ত থাকার সুযোগ নেই। এ কারণেই শিল্পীরা দেশ ছেড়ে যাচ্ছেন। আমরা চাই দেশ ভালো করুক, দেশের মঙ্গল হোক।”

আগামী সরকারের প্রতি আহ্বান জানিয়ে তিনি বলেন, “আমি আগামীতে দেশে এলে সরকারের কাছে চাইব শিল্পীদের জন্য নিশ্চিত জীবন-ব্যবস্থা রাখতে হবে। শিল্পীরা যেন নিশ্চিন্তে বেঁচে থাকতে পারে, সেটা নিশ্চিত করতে হবে।”

উল্লেখ্য, সর্বশেষ মুক্তিপ্রাপ্ত ‘রাজকুমার’ চলচ্চিত্রে শাকিব খানের সঙ্গে স্ক্রিন শেয়ার করেছিলেন আহমেদ শরীফ।