অভিনেত্রী কৃতি শ্যানন আবারও বলিউডে নারী-পুরুষের পারিশ্রমিক ও সুযোগের বৈষম্য নিয়ে কথা বলেছেন। সম্প্রতি তিনি জাতিসংঘের একটি বিশেষ দায়িত্ব পেয়েছেন, যা তাকে এই বিষয়ে আরও দৃঢ়ভাবে কথা বলার সুযোগ করে দিয়েছে।
জাতিসংঘ জনসংখ্যা কার্যক্রম তহবিল (UNFPA) ভারতের পক্ষ থেকে লিঙ্গ সমতার সম্মানসূচক দূত হিসেবে মনোনীত হয়েছেন কৃতি। এই দায়িত্ব গ্রহণের পর তিনি বলেন, নারী-পুরুষের সমান সুযোগ নিশ্চিত করা এবং লিঙ্গবৈষম্য ভাঙাই এখন তার প্রধান লক্ষ্য।
এনডিটিভিকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে কৃতি নিজের ব্যক্তিগত অভিজ্ঞতার কথা তুলে ধরেন। তিনি বলেন, তার বাবা-মা দুজনেই কাজ করতেন এবং সমানভাবে সংসারের দায়িত্ব সামলাতেন। তাই শৈশবে তাকে বৈষম্যের মুখোমুখি হতে হয়নি। তবে বলিউডে কাজ করতে গিয়ে তাকে নানা ছোটখাটো বৈষম্যের শিকার হতে হয়েছে।
তিনি বলেন, “ছোট ছোট কিছু ব্যাপার যেমন, পুরুষ অভিনেতাকে ভালো গাড়ি বা ভালো রুম দেওয়া হয়। এটা গাড়ির জন্য নয়, বরং আমি যেন শুধু নারী হওয়ার কারণে নিজেকে ছোট মনে না করি। আমি শুধু সমান আচরণ চাই।”
কৃতি আরও বলেন, "অনেক সময় নারী অভিনেত্রীদের ডেকে এনে অপেক্ষা করানো হয়, যেন পুরুষ অভিনেতা আসা পর্যন্ত কাজ শুরু করা যাবে না। এই ধরনের মানসিকতা বদলানো জরুরি।"
তিনি জানান, নারীপ্রধান সিনেমার বাজেট সাধারণত পুরুষপ্রধান সিনেমার চেয়ে কম হয়। প্রযোজকরা প্রায়শই ভাবেন, নারীপ্রধান সিনেমা হয়তো বক্স অফিসে ভালো ব্যবসা করবে না। কৃতি এই ধারণাকে ভুল প্রমাণ করতে চান। তার মতে, সিনেমার সাফল্য নির্ভর করে গল্পের উপর, কোনো নির্দিষ্ট লিঙ্গের ওপর নয়।
বর্তমানে কৃতি শ্যানন পরিচালক আনন্দ এল রাইয়ের ‘তেরে ইশক মে’ সিনেমার শুটিংয়ে ব্যস্ত রয়েছেন। এই ছবিতে তার বিপরীতে অভিনয় করছেন দক্ষিণী সুপারস্টার ধানুশ। এছাড়াও, তিনি ‘ককটেল ২’ ছবিতেও কাজ করছেন।