২০০৫ সালে মুক্তি পেয়েছিল বলিউডের সুপারহিট কমেডি ছবি ‘নো এন্ট্রি’। মুক্তির পরপরই ছবিটি বক্স অফিসে ঝড় তোলে এবং আজও দর্শকের হৃদয়ে এক বিশেষ স্থান দখল করে আছে। দুই দশক পরও ছবিটির স্মৃতি যেন অমলিন। সম্প্রতি এই ছবিতে সানজানা সাক্সেনা চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী সেলিনা জেটলি ‘স্ক্রিন’ ম্যাগাজিনকে দেওয়া এক সাক্ষাৎকারে শুটিংসেটের অভিজ্ঞতা, সহ-অভিনেতাদের সঙ্গে সম্পর্ক এবং ছবির সিক্যুয়েল নিয়ে খোলামেলা কথা বলেছেন।
সেলিনা জানান, প্রথমে তাকে ছবির আরেকটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্র ববি (যেটি শেষ পর্যন্ত করেছিলেন বিপাশা বসু) এর জন্য প্রস্তাব দেওয়া হয়েছিল। কিন্তু তিনি বরং সানজানা চরিত্রের সঙ্গে বেশি সংযোগ অনুভব করেন। তার ভাষায়, “প্রথমে আমাকে বিপাশার চরিত্রটি দেওয়া হয়েছিল। ওই চরিত্রটিও অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ ছিল এবং সেখানে কিছু সুন্দর গানও ছিল। একজন অভিনেত্রীর জন্য এমন চরিত্র পাওয়া নিঃসন্দেহে বড় পাওয়া। কিন্তু আমি সানজনার চরিত্রের সঙ্গেই বেশি সংযুক্ত বোধ করি।”
শুটিংয়ের প্রথম দিনের কথা স্মরণ করে সেলিনা বলেন, দক্ষিণ আফ্রিকার কেপ টাউনে একটি বিলাসবহুল ভিলায় তার প্রথম দৃশ্যের শুটিং হয়। সেই বিখ্যাত দৃশ্য যেখানে অনিল কাপুর ভেবে বসেন তিনি তার স্ত্রীর সঙ্গে কথা বলছেন, কিন্তু পরে সত্যিটা জানতে পেরে শকে অজ্ঞান হয়ে পড়েন। সেলিনার মতে, এটি তার জন্য ছিল কঠিন পরীক্ষা। কারণ তিনি তখন ইন্ডাস্ট্রিতে নবাগত, অথচ তাকে অভিনয় করতে হচ্ছিল অনিল কাপুরের মতো এক কিংবদন্তির সঙ্গে।
প্রথম পরিচয়ের সময় অনিল কাপুর মজা করে তার লম্বা চুল আসল কি না জিজ্ঞেস করেছিলেন। যখন সেলিনা নিশ্চিত করেন যে চুল আসল, তখন অনিল কাপুর হেসে তাকে অভিনন্দন জানান এবং বলেন, তিনি খুশি যে সেলিনা এত যত্ন করে চুল সুন্দর রেখেছেন। সেলিনার মতে, এই ছোট্ট কথোপকথনই তার সব জড়তা কাটিয়ে দেয়।
সালমান খানের প্রসঙ্গে সেলিনা বলেন, সালমান সেটে একেবারে আলাদা ধরনের এনার্জি নিয়ে আসতেন। তখন তিনি একসঙ্গে তিনটি ছবির শুটিং করছিলেন, তবুও সবসময় প্রাণবন্ত ছিলেন। তিনি খুব মজার মানুষ এবং মেয়েদের প্রতি ভীষণ রক্ষনশীল। অনিল কাপুরের উদ্দীপনা, উদারতা এবং সীমাহীন শক্তি সবার মন জয় করত। তাকে কাজ করতে দেখা ছিল এক ধরনের মাস্টারক্লাস। ফারদিন খানের সঙ্গে আগেই সেলিনার ভালো সম্পর্ক ছিল, যা একসঙ্গে কাজ করাকে আরও সহজ করে তোলে।
‘নো এন্ট্রি ২’ নিয়ে গুঞ্জন থাকলেও এখন পর্যন্ত সেলিনার কাছে কোনো প্রস্তাব আসেনি। তবে তিনি মূল ছবির অংশ হতে পেরে গর্বিত। তার ভাষায়, “ছবিটি ছিল একটি মেগা ব্লকবাস্টার, এবং আজও মানুষ তা মনে রেখেছে। আজকের দিনে প্রতিটি বিষয়কে খুঁটিয়ে দেখা হয়, কিন্তু অনীসজির (পরিচালক অনীস বাজমি) গল্পের সরলতাই ছবিটিকে চিরন্তন করেছে। সেই কারণেই ছবিটি এখনো দর্শকের ভালোবাসায় বেঁচে আছে।”