বলিউডের জনপ্রিয় অভিনেত্রী রেখার জীবন ছিল সংগ্রাম ও নাটকীয়তায় ভরা। জীবনের শুরুতে পারিবারিক অভাব দূর করার জন্য মাত্র ১৪ বছর বয়সে পড়াশোনা ছেড়ে অভিনয়ে আসেন। কিন্তু তার অভিনয় জীবনের শুরুটা হয়েছিল এক ভয়ংকর অভিজ্ঞতা দিয়ে।
১৯৫৪ সালে তামিল অভিনেতা জেমিনি গণেশন ও তেলেগু অভিনেত্রী পুষ্পাভ্যালির ঘরে ভানুরেখা গণেশন (রেখা) জন্মগ্রহণ করেন। পরিবারের দায়িত্ব ছিল তার কাঁধে, তাই অভাব দূর করার জন্য তার মা তাকে অভিনয় করার পরামর্শ দেন। ১৪ বছর বয়সে তিনি ঠিক করেন বলিউডে গিয়ে নিজের ভাগ্য পরিবর্তন করবেন।
তবে শুরুতে তাকে অনেক বাধার সম্মুখীন হতে হয়। গায়ের রং কালো হওয়ার কারণে এবং হিন্দি না জানার কারণে অনেক প্রযোজক ও পরিচালক তাকে ফিরিয়ে দেন। কিন্তু পরিচালক শ্যাম বেনেগাল তার অভিনয় প্রতিভা দেখে মুগ্ধ হন। এরপরই তিনি প্রথম ছবিতে অভিনয় করার সুযোগ পান, যার জন্য তিনি ২৫ হাজার টাকা পারিশ্রমিক পেয়েছিলেন।
১৯৭০ সালে রেখা বলিউডের প্রথম ছবি 'আনজানা সফর'-এ অভিনয়ের সুযোগ পান। এই ছবিটি মুক্তির আগেই সেন্সর বোর্ডে আটকে যায়, কারণ এখানে সহশিল্পী বিশ্বজিতের সঙ্গে কিশোরী রেখার পাঁচ মিনিটের একটি চুম্বনের দৃশ্য ছিল।
মাত্র ১৫ বছর বয়সী রেখা এই চুম্বনের দৃশ্যটির জন্য একেবারেই প্রস্তুত ছিলেন না। ছবিটির নায়ক বিশ্বজিৎ জোর করে রেখাকে টানা পাঁচ মিনিট ধরে চুমু খেয়েছিলেন। রেখা এই ঘটনার জন্য পুরোপুরি হতবাক হয়ে যান। চারপাশে কলাকুশলীরা চিৎকার করছিল এবং নানান মন্তব্য করছিল। সেই মুহূর্তে রেখার দুচোখ দিয়ে শুধু জল ঝরছিল। পরে অবশ্য বিশ্বজিৎ দাবি করেছিলেন যে, পুরো ঘটনাটি পরিচালকের পরিকল্পনা ছিল।
এই ভয়ংকর অভিজ্ঞতা দিয়ে রেখার মতো একজন প্রতিভাবান অভিনেত্রীর বলিউড যাত্রা শুরু হয়।