জনপ্রিয় অভিনেত্রী মেহজাবীন চৌধুরীর প্রথম চলচ্চিত্র ‘সাবা’ আগামী ২৬ সেপ্টেম্বর দেশের প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পাচ্ছে। ছবির প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ইতিমধ্যেই মুক্তির দিনক্ষণ চূড়ান্ত করেছে। ছবিটি দেখার জন্য দর্শকদের প্রতি আহ্বান জানিয়েছেন ছবির পরিচালক মাকসুদ হোসেন এবং প্রধান চরিত্রে অভিনয় করা অভিনেত্রী মেহজাবীন। তারা আশা করছেন, মা-মেয়ের এই আবেগঘন গল্পটি দর্শকদের মন ছুঁয়ে যাবে।

পরিচালক মাকসুদ হোসেন বলেন, “এই ছবি ইমোশনালি সবাইকে একাত্ম করবে। আমি চাই, দর্শকেরা হলে আসুক, ছবিটি দেখুক এবং দেখার পর অন্যদের দেখার কথা বলুক।” মেহজাবীনও তাকে সমর্থন করে বলেন, “এটি এমন একটি গল্প, যেটা মা-বাবা, পরিবার নিয়ে দেখা যায়। আমি সাজেস্ট করব, মা-বাবাকে সঙ্গে নিয়ে হলে গিয়ে দেখুন। অভিজ্ঞতাটা অনেক গভীর হবে।”

‘সাবা’র গল্প

‘সাবা’ একটি মধ্যবিত্ত পরিবারের সংগ্রামী জীবনের গল্প নিয়ে নির্মিত। কেন্দ্রীয় চরিত্র সাবার বাবা নেই এবং তার মা শিরিন সড়ক দুর্ঘটনায় পঙ্গু হয়ে হুইলচেয়ারে বন্দী। মায়ের একমাত্র ভরসা মেয়ে সাবা, যে সংসারের বোঝা ও মায়ের সেবার দায়িত্ব সামলাতে গিয়ে নিজের ক্যারিয়ার গুছিয়ে তুলতে পারেনি। অর্থকষ্টে জর্জরিত সাবা মাকে সুস্থ করে তোলার চেষ্টা করে। কিন্তু হঠাৎ শিরিনের হার্ট অ্যাটাক হলে জরুরি অপারেশনের প্রয়োজন হয়, যা সাবার জীবনে নতুন সংকট নিয়ে আসে।

আন্তর্জাতিক মঞ্চে ‘সাবা’

যদিও ‘প্রিয় মালতী’ মুক্তির দিক থেকে মেহজাবীনের প্রথম চলচ্চিত্র, তবে বড় পর্দায় অভিনয়ের দিক থেকে এই ‘সাবা’ই তার প্রথম কাজ। সিনেমাটি নির্মাণ শেষে গত বছর সেপ্টেম্বরে টরন্টো আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে বিশ্ব প্রিমিয়ার হয়। এরপর এটি বুসান, রেড সি, গথেনবার্গ, সিডনি, রেইনডান্স-সহ একাধিক আন্তর্জাতিক চলচ্চিত্র উৎসবে প্রদর্শিত হয়েছে।

১৬ বছর ধরে বিনোদন অঙ্গনে কাজ করা মেহজাবীন এই ছবিতে অভিনয়ের জন্য দীর্ঘ প্রস্তুতি নিয়েছেন। তিনি বলেন, “অনেক রিহার্সাল করেছি। কঠোর পরিশ্রম করতে হয়েছে। এটা একই সঙ্গে আমার পরিচালকের শাশুড়ির এবং চিত্রনাট্যকারের মায়ের গল্প। যে কারণে অনেক গভীরভাবে চরিত্র সম্পর্কে আলোচনা করতে পেরেছি।”

‘সাবা’ সিনেমায় মেহজাবীনের বিপরীতে প্রথমবার জুটি বেঁধেছেন মোস্তফা মন্ওয়ার। ৯০ মিনিট দৈর্ঘ্যের এই সিনেমার গল্প ও চিত্রনাট্য যৌথভাবে লিখেছেন মাকসুদ হোসেন ও ত্রিলোরা খান