বিশ্ব চলচ্চিত্র অঙ্গনে ভারতের সিনেমার গুরুত্ব অপরিসীম। প্রতি বছর এখানে অসংখ্য সিনেমা তৈরি হয়, তবে অনেক ক্ষেত্রেই যৌনতা, নগ্নতা বা বিতর্কিত বিষয়বস্তুর কারণে সেন্সর বোর্ডের কঠোর নজরদারির মুখে পড়তে হয়। নিচে এমন ৭টি সিনেমা নিয়ে আলোচনা করা হলো, যেগুলো বিভিন্ন কারণে ভারতে মুক্তির অনুমতি পায়নি বা নিষিদ্ধ হয়েছে।

১. গান্ডু (২০১০)

বাংলা ভাষার এই স্বাধীনধারার সিনেমাটি নগ্নতা, যৌন দৃশ্য এবং আপত্তিকর শব্দের জন্য সেন্সর বোর্ডের ছাড়পত্র পায়নি। কৌশিক মুখার্জি পরিচালিত এই ছবিটি বিদেশে ব্যাপক প্রশংসা পেলেও ভারতে কখনোই মূলধারায় মুক্তি পায়নি।

২. কামাসূত্র : দ্য টেল অব লাভ (১৯৯৬)

ভাস্বতীর ‘কামসূত্র’ অবলম্বনে নির্মিত এই ঐতিহাসিক প্রেমের ছবিটি নগ্নতা ও যৌন দৃশ্যের কারণে ভারতীয় সংস্কৃতির পরিপন্থী মনে হওয়ায় নিষিদ্ধ করা হয়। মীরা নায়ার পরিচালিত এই ছবিতে প্রবীণ অভিনেত্রী রেখা একটি গুরুত্বপূর্ণ চরিত্রে অভিনয় করেছেন।

৩. আনফ্রিডম (২০১৫)

এই ছবিটি সমকামিতা এবং ধর্মীয় মৌলবাদ এই দুটি স্পর্শকাতর বিষয় নিয়ে তৈরি হয়েছে। এতে দুই নারীর মধ্যকার ঘনিষ্ঠ দৃশ্য এবং ধর্মীয় উগ্রবাদের মতো বিষয়গুলো থাকায় এটি ভারতে সম্পূর্ণ নিষিদ্ধ করা হয়।

৪. পাঁচ (২০০৩)

পাঁচ বন্ধুর অপরাধ ও পতনের গল্প নিয়ে তৈরি এই ছবিতে অতিরিক্ত মাদক, সহিংসতা ও যৌনতা থাকায় সেন্সর বোর্ড বারবার বাধা দেয়। অনুরাগ কাশ্যপ পরিচালিত এই ছবিটি আজও কোনো প্রেক্ষাগৃহে মুক্তি পায়নি।

৫. সিনস (২০০৫)

একজন ক্যাথলিক পুরোহিতের যৌন আসক্তি ও এক নারীর সঙ্গে তার সম্পর্কের গল্প নিয়ে নির্মিত এই ছবিটি খ্রিস্টান সম্প্রদায়ের প্রতিবাদের মুখে পড়ে। 'সংখ্যালঘু ধর্মীয় অনুভূতিতে আঘাত হানে' এই যুক্তিতে ছবিটি নিষিদ্ধ করা হয়।

৬. দ্য পেইন্টেড হাউজ (২০১৫)

মালয়ালম ভাষার এই ছবিতে একজন পুরুষ চিত্রশিল্পীর যৌন বিকারগ্রস্ততা তুলে ধরা হয়েছে। নগ্নতা ও সাহসী দৃশ্যের কারণে সেন্সর বোর্ড এটিকে 'অশ্লীল' ঘোষণা করে এবং ভারতে নিষিদ্ধ করে দেয়।

৭. মালিক (১৯৭২)

এই ছবিটি ইসলাম ধর্মকে ব্যঙ্গ করেছে বলে অভিযোগ ওঠে। যৌনতার পাশাপাশি ধর্মীয় উপাদান থাকার কারণে এটি বেশ বিতর্ক সৃষ্টি করে এবং সেন্সর বোর্ড এর মুক্তির অনুমতি দেয়নি।