মুক্তির আগেই ব্যাপক আলোচনায় আসে মোহিত সুরির সিনেমা ‘সাইয়ারা’। বিশেষ করে সিনেমাটির গানগুলো শ্রোতাদের মধ্যে ব্যাপক সাড়া ফেলেছে। তবে সম্প্রতি অভিযোগ ওঠে, ছবির একটি গানের সুর নাকি ব্রিটিশ ব্যান্ড ‘ওয়ান ডিরেকশনের’ জনপ্রিয় গান ‘নাইট চেঞ্জেস’ এবং ‘জুবিন নাটিয়ালের গান ‘হুমনাভা মেরে’ থেকে অনুপ্রাণিত। এই অভিযোগের প্রেক্ষিতে মুখ খুলেছেন ‘সাইয়ারা’র সুরকার ‘তনিষ্ক বাগচী’।

সিনেমার টাইটেল ট্র্যাকটি ইতিমধ্যেই ‘স্পটিফাইয়ের গ্লোবাল টপ চার্টে চতুর্থ স্থানে’ উঠে এসেছে। তবে সুর নকলের অভিযোগ উঠতেই তনিষ্ক বাগচী বলেন, আমি যাই করি না কেন, মানুষ কিছু না কিছু বলবেই। ওদের তো করার মতো কিছু নেই, তাই সব সময় একটা সুযোগ খোঁজে আমাকে ছোট করার। কিন্তু গানটা যেখানে পৌঁছানোর কথা, সেখানে ঠিকই পৌঁছে গেছে। ‘সাইয়ারা’ তার প্রমাণ।

দুই গানের সঙ্গে ‘সাইয়ারা’ গানটির সাদৃশ্য নিয়ে তনিষ্ক আরও বলেন, যাঁরা এসব তুলনা করছেন, তাঁরা যদি খেয়াল করেন দেখবেন, অনেক গানের মেলোডির কর্ড একরকমই। ‘এ মাইনর’ স্কেলে মাত্র ৩-৪টি কর্ড থাকে। কিন্তু প্রতিটি সুরের নিজস্ব একটা আত্মা থাকে। এই সাদৃশ্য মানেই চুরি নয়। আমরা কোনো কিছু হুবহু তুলে বসিয়ে দিইনি। বরং গানটার আবেগ নিয়ে কাজ করেছি, সেটাই শ্রোতার মনে জায়গা করে নিয়েছে। এটাই ‘সাইয়ারা’র আসল জাদু।

 

কে এই তনিষ্ক বাগচী?

তনিষ্ক বাগচী প্রথম পরিচিতি পান ‘তনিষ্ক-ভায়ু’ জুটির অংশ হিসেবে। তাঁদের তৈরি ‘বন্নো’ গানটি (সিনেমা: তনু ওয়েডস মনু রিটার্নস) বেশ জনপ্রিয় হয়। এরপর এককভাবে ‘বলনা’ (সিনেমা: কাপুর অ্যান্ড সন্স) গানটির মাধ্যমে আবেগঘন সুরে নিজের দক্ষতা দেখান। তবে তনিষ্ক আসল পরিচিতি পান রিমিক্স ঘরানার গান দিয়ে।

‘দ্য হুম্মা সং’, ‘আঁখ মারে’, ‘দিলবার’, ‘তাম্মা তাম্মা আগেইন’—এই গানগুলো তাঁকে বলিউডে ‘রিমিক্স কিং’ খেতাব এনে দেয়।

বক্স অফিসে সাফল্য

আহান পাণ্ডে ও অনীত পাড্ডার নতুন জুটি নিয়ে তৈরি ‘সাইয়ারা’ বক্স অফিসেও সফলতা পেয়েছে। মুক্তির মাত্র ১১ দিনের মধ্যেই ভারতেই আয় করেছে ২৫৬ কোটি রুপি, যা প্রমাণ করে গান কিংবা বিতর্ক ছাপিয়ে ছবিটি দর্শকমনে জায়গা করে নিয়েছে।