বলিউডের রুপালি পর্দায় শাহরুখ খানের সঙ্গে বহু ছবিতে কাজ করেছেন অভিনেত্রী শিবা চাড্ডা। নব্বইয়ের দশকের শেষভাগ থেকে শুরু হওয়া এই যাত্রায় তিনি কিং খানের সঙ্গে কাজের অনেক অজানা গল্প সম্প্রতি সামনে এনেছেন। সিদ্ধার্থ কাননের পডকাস্টে এসে ৫২ বছর বয়সী এই অভিনেত্রী জানালেন, তার কলেজ জীবনের সিনিয়র শাহরুখ শুধু একজন সহ-অভিনেতাই নন, বরং তার কাছে এক বিশাল অনুপ্রেরণা।
শিবা বলেন, “‘দিল সে’ সিনেমায় আমার কোনো চরিত্রই ছিল না বলা চলে! এতটাই ছোট যে, আমি ভুলেই গেছি সেটা কী ছিল। সেই সময় ডালহৌসিতে শুটিং করতে গিয়ে শাহরুখ খানের সঙ্গে দেখা, এটাই ছিল বড় ব্যাপার। একটা জরুরি দৃশ্যের শুটিং হচ্ছিল, যেখানে মণীষা কৈরালার সেটে থাকার কথা ছিল, কিন্তু ব্যক্তিগত কাজের জন্য তিনি উপস্থিত ছিলেন না। দৃশ্যটি ছিল শাহরুখ ও মণীষার বরফের মধ্যে দিয়ে হেঁটে যাওয়ার। তখন পরিচালক মণি রত্নম আমাকে এসে বললেন, ‘আপনি কি মণীষার পোশাক পরে তার বডি ডাবল হিসেবে দৃশ্যটিতে হাঁটতে পারবেন?’”
শিবা আরও জানান, তিনি ‘জিরো’ ও ‘রইস’-এর মতো সিনেমায় শাহরুখের মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন, অথচ শাহরুখ তার কলেজের সিনিয়র ছিলেন। তিনি বলেন, “আমি এখন বুঝতে পারি, তিনি হংস রাজ কলেজে আমার সিনিয়র ছিলেন। যদিও আমি তাকে বিষয়টি মনে করিয়ে দিইনি।”
শাহরুখের ভদ্রতা এবং পেশাদারিত্ব প্রসঙ্গে শিবা বলেন, “যখন ‘রইস’ সিনেমার শুটিং করছিলাম, তখন আমি দিল্লির কোনো একটি সাক্ষাৎকারে গিয়েছিলাম। সেখানে শাহরুখও উপস্থিত ছিলেন। সেখানে তিনি বলছিলেন, ‘রইস’ সিনেমায় একজন অভিনেত্রী আছেন, যিনি আমার মায়ের চরিত্রে অভিনয় করেছেন। তাকে দেখুন, দারুণ অভিনয় করেছেন।’ অথচ আমাদের একটাও দৃশ্য একসঙ্গে ছিল না। সত্যিই, শাহরুখ খুবই আলাদা ধরনের একজন মানুষ।”
আরেকটি দৃশ্যের কথা বলতে গিয়ে শিবা বলেন, “আমাদের একটি আলিঙ্গনের দৃশ্য ছিল, যেখানে শাহরুখকে মার খেতে হচ্ছিল এবং আমি তাকে রক্ষা করছিলাম। সেই দৃশ্যের শুটিং শুরুর আগে শাহরুখ আমার কাছে এসে জিজ্ঞাসা করেন, ‘আমি কি আপনাকে স্পর্শ করতে পারি?’ আমি বললাম, ‘হ্যাঁ।’ শাহরুখ খুবই দারুণ একজন মানুষ। আমি সেটে যাওয়ার আগেই আমার নাম জানতেন। সেই অনুভূতি একেবারেই আলাদা ছিল।