চিত্রনায়ক শাকিব খান সম্প্রতি চুক্তিবদ্ধ হয়েছেন একটি নতুন সিনেমায়, যেটি প্রযোজনা করছে ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড। সিনেমাটি পরিচালনা করবেন আবু হায়াত মাহমুদ। যদিও এখনও সিনেমার নাম প্রকাশ করা হয়নি, তবে সামাজিক যোগাযোগমাধ্যমে গুঞ্জন উঠেছে—এই সিনেমায় শাকিব খান নাকি নব্বই দশকের আলোচিত শীর্ষ সন্ত্রাসী 'কালা জাহাঙ্গীর'-এর চরিত্রে অভিনয় করবেন।

 

এ বিষয়ে এতদিন কেউ আনুষ্ঠানিকভাবে কিছু না বললেও, অবশেষে এক লিখিত বিবৃতিতে বিষয়টি নাকচ করেছেন পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদ এবং প্রযোজক শিরিন সুলতানা। তারা এই তথ্যকে ভিত্তিহীন ও বিভ্রান্তিকর বলে উল্লেখ করেছেন।

 

বিবৃতিতে জানানো হয়, “আমরা যে সিনেমাটি নিয়ে কাজ করছি, সেটি নিয়ে কিছু ভুল তথ্য ছড়িয়েছে সোশ্যাল মিডিয়ায়। বিশেষ করে, বলা হচ্ছে সিনেমাটি ‘কালা জাহাঙ্গীর’ নামক ব্যক্তির জীবনীভিত্তিক। আমরা স্পষ্ট করে জানাচ্ছি, এই তথ্য সঠিক নয়। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠান ক্রিয়েটিভ ল্যান্ড কিংবা পরিচালক আবু হায়াত মাহমুদের পক্ষ থেকে এ ধরনের কোনো বক্তব্য কোথাও দেওয়া হয়নি।”

 

তারা আরও জানান, “এই সিনেমাটি কোনো নির্দিষ্ট ব্যক্তিকে ঘিরে নয়। নব্বই দশকের ঢাকা শহরকে পটভূমি করে গড়ে উঠবে এর কাহিনি, যেখানে ক্রাইম, ভালোবাসা, অ্যাকশন, ইমোশন এবং পারিবারিক গল্প—সবকিছুই থাকবে। গুলিস্তান থেকে গুলশান পর্যন্ত সব শ্রেণির দর্শকের জন্য সিনেমাটি উপভোগ্য করে তোলাই আমাদের লক্ষ্য।”

 

প্রযোজক ও পরিচালক দর্শকদের অনুরোধ জানিয়ে বলেন, “আমাদের অফিসিয়াল স্টেটমেন্ট ছাড়া অন্য কোনো সূত্র থেকে পাওয়া তথ্য বিশ্বাস করে বিভ্রান্ত হবেন না।”

 

বিবৃতিতে আরও জানানো হয়, সিনেমাটির প্রি-প্রোডাকশনের কাজ এখন পুরোদমে চলছে। দেশের পাশাপাশি দেশের বাইরেও একাধিক টিম কাজ করছে যেন একটি দর্শকনন্দিত ও সফল সিনেমা উপহার দেওয়া যায়।

 

আগামী আগস্টে সিনেমার নাম প্রকাশের পরিকল্পনা রয়েছে। প্রযোজনা প্রতিষ্ঠানের পক্ষ থেকে জানানো হয়, “আগস্টে আমরা সিনেমার নাম ঘোষণা করব, এবং দর্শকদের জন্য কিছু চমকও অপেক্ষা করছে। মেগাস্টার শাকিব খানকে যুক্ত করার সময় যেভাবে দর্শকরা আমাদের ওপর ভরসা রেখেছেন, আমরা আশা করি এই যাত্রা ও সিনেমা মুক্তির পরেও সেই ভালোবাসা ও সমর্থন পাব।”

 

এর আগে পরিচালক জানিয়েছিলেন, সিনেমার শুটিং অক্টোবর মাসে শুরু হবে। তবে এখন পরিকল্পনা অনুযায়ী নভেম্বরে শুটিং শুরুর সম্ভাবনা রয়েছে।

 

উল্লেখ্য, নির্মাতা আবু হায়াত মাহমুদ দীর্ঘ এক যুগ ধরে নাটক, ওটিটি কনটেন্ট এবং ডকুমেন্টারি নির্মাণের সঙ্গে যুক্ত। ইতোমধ্যে তিনি আড়াই শতাধিক নাটক নির্মাণ করেছেন।